রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নারী নিহত

25

কক্সবাজারের টেকনাফে শালবন শিবিরে গুলিবিদ্ধ হওয়া রোহিঙ্গা নারী রহিমা খাতুন (৩৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবির পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত নারী ওই শরণার্থী শিবিরের ‘ই’ বøকের বাসিন্দা ছালে আহমদের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, ছালে আহমদ নয়াপাড়া মৌচনি রোহিঙ্গা শিবির থেকে প্রায় দুই মাস আগে শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের পাহাড়ের তীরে আশ্রয় নেন। কিছুদিন আগে তার মেয়েকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীর তুলে নেওয়া চেষ্টা চালায়। এসময় আশপাশের লোকজনসহ তারা বাধা দেন। গতকাল শনিবার দুপুরে ছালে আহমদের স্ত্রী পাহাড়ে গরু বেঁধে দেওয়ার জন্য গেলে পুরনো বিরোধের সূত্র ধরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার ওপর গুলি চালায়। এসময় গুলিবিদ্ধ রহিমা খাতুন চিৎকার করে মাটিতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার পাঠান। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
টেকনাফ শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান রমিদা বেগম বলেন, দুপুরে শিবিরের পাশে পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীর গুলিতে তিনি আহত হন। এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানাই আমরা।
নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবির পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুস সালাম বলেন, গুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।