রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে চরমভাবে দূষিত খাল

46

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নিরাপদ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এখানে বিভিন্নভাবে পাওয়া পানি পরিশোধন বা ফুটিয়ে খাবার উপযোগী করতে হয়। রোহিঙ্গাদের বর্জ্যে খালের পানিও দূষিত হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এনজিও সংস্থাগুলোর অবহেলা, নজরদারির অভাব, অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের কারণে খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বালুখালী পানবাজার পেরিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছরা ও খালের পানিতে মিশছে। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলোও দূষিত হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় বদিউর জমান জানান, এসব বর্জ্যে বালুখালীর বিভিন্ন স্থানে শাক-সবজি, ক্ষেত-খামার ও ফসল নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
ক্যাম্পে কর্মরত এক এনজিও কর্মী বলেন, এসব দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে ডায়রিয়া, কলেরা, চুলকানি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পের ভেতরে দুর্গন্ধে থাকা যায় না।
বালুখালী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা আইয়ুব জানান, খালের দূষিত পানির কারণেনানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পের পয়োঃবর্জ্য ও হাসপাতালের বর্জ্য এসে মিশছে। অনেক জায়গায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জমে যাচ্ছে সেই পানি। বর্ষা মৌসুমের আগে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে বিপন্ন হবে পরিবেশ।
কুতুপালং এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা জয়নাল বলেন, এ অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায় না। ক্যাম্পের বর্জ্যে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। ক্যাম্প এলাকার দূষিত বর্জ্যকে পরিবেশের উপযোগী করতে পরিশোধনাগার স্থাপন জরুরী।
পালংখালীর এক জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করে বলেন, একটি এনজিও বালুখালী সহ পালংখালীর গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো খনন করার জন্য কোটি টাকার বরাদ্দ এনে খাতা-কলমে খাল খনন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে।