রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার পথ দেখলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত

42

যে পথ দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে কক্সবাজারের টেকনাফে পালিয়ে আসেন রোহিঙ্গারা, সে পথ দেখলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেন হোল্টজ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ চৌধুরীর পাড়ায় নাফনদের বুকে গড়ে ওঠা টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাট ঘুরে দেখেন জার্মান রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি নাফনদী হয়ে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার পথ দেখে নিজের মোবাইলে ছবি তোলেন তিনি।
এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে জার্মান রাষ্ট্রদূত জানতে চান, ‘এই নাফনদী পেরিয়ে কি রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে?’
এ প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সম্মতিসূচক মাথা নাড়েন। এর আগে একইদিন বেলা ১১ টার দিকে লেদা রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে টেকনাফ পৌরসভায় হোস্ট কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেন জার্মান রাষ্ট্রদূত। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
সভায় পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, ‘শুরুতে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল স্থানীয় লোকজন। কিন্তু বর্তমানে রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা নানাভাবে সমস্যায় পড়ছে। তারা কাজও পাচ্ছে না। কারণ স্থানীয় শ্রমবাজার এখন রোহিঙ্গাদের দখলে’। তিনি আরও বলেন, ‘মানব পাচার, মাদক ব্যবসাসহ আরও নানা অপরাধে রোহিঙ্গারা জড়ানোয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া, রোহিঙ্গাদের দেখভালে নিয়োজিত বিভিন্ন এনজিও’র অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলে রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে’।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেন হোল্টজ বলেন, ‘জার্মান সরকার বাংলাদেশের পাশে রয়েছে, রোহিঙ্গাদের সহায়তার পাশাপাশি স্থানীয়দের সহায়তার কথাও ভাবছে। কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের সহাতায় করা যায়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে’।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল্লাহ মনির, এনজিও ‘আনন্দ’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিয়া, এরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী, রেসপন্স কো-অর্ডিনেটর বজলুর রশিদ, পৌর সচিব মহিউদ্দিন ফয়েজী, ইঞ্জিনিয়ার জহির উদ্দিন আহমদ, কাউন্সিলর মনিরুলজ্জামান, আবু হারেছ, হোছন আহমদ, মহিলা কাউন্সিলর নাজমা আলম, কহিনুর আক্তার, দিলরুবা খানম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম বাহাদুর, উপ-সহকারী মুর্শেদুল ইসলাম প্রমুখ।