রোহিঙ্গাক্যাম্পে চাকরি দাবি

36

মাথায় কাফনের কাপড় পরে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের কোটবাজার চৌরাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চাকরিবঞ্চিত শত শত যুবক। এ সময় তাদের সমর্থনে উখিয়ার হাজার হাজার সাধারণ মানুষও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও প্রতিরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয়দের চাকুরিতে অগ্রাধিকার প্রদানের দাবি এনজিওগুলো তোয়াক্কা না করায় ‘অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি উখিয়া’র উদ্যোগে অবস্থান ও প্রতিরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের কোটবাজার চৌরাস্তায় মাথায় কাফনের কাপড় পরে অবস্থান নেন চাকুরিবঞ্চিত শত শত বেকার যুবক। কর্মসূচি পালনকালে রাস্তার ধারে যানজটের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে পুলিশ অবস্থান কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করতে আয়োজকদের অনুরোধ জানায়। কিন্তু কর্মসূচি শেষ না হওয়ায় আয়োজকরা তা শেষ করতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে বাক-বিতন্ডার জেরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের আশ্বাসের ভিত্তিতে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দেয় আয়োজকেরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক মাস আগে এনজিওদের সাথে এক সময়ন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওতে চাকুরি প্রদানের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানান। ওই সমন্বয় সভায় এ নিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে সময় বেঁধে দিলেও ওই এনজিওগুলো বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে। তারা সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঢালাওভাবে স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের চাকুরি থেকে ছাঁটাই করতে থাকে। যার প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলনে নেমেচি। একটি কুচক্রি সুবিধালোভী মহল আমাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। আগামি ১ সপ্তাহের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওগুলোতে স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ না দিলে এবং কর্মরত স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের কোনো কারণ ছাড়াই ছাঁটাই করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত করে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম বলেন, আপনাদের আন্দোলন ও দাবির যৌক্তিকতা রয়েছে। আপনাদের সব দাবি মেনে নেয়া হবে। ইতোমধ্যে আপনাদের বার্তা জেলা প্রশাসক ও ইউএনও’র মাধ্যমে শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত রাখতে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ইমরুল কায়েস চৌধুরী, শরিফ আজাদ প্রমুখ।