রোজায় ডায়াবেটিক রোগীর খাদ্য ওষুধ ব্যবস্থাপনা ও ব্যায়াম

97

ডায়াবেটিক রোগীর রোজা রাখার সময় সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে খাদ্য ব্যবস্থাপনায়।
সেহিরর খাবার সেহিরর শেষ সময়ের অল্প কিছুক্ষণ আগে খাওয়া উচিত।
ইফতারের সময় অধিক পরিমাণে মিষ্টি ও চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ না করা ভালো।
ডায়াবেটিক রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যেন তারা পানিশূন্যতায় না ভোগেন।
খেজুর খেলে, একটা খেজুর খেতে পারেন।
ফলমূল, শাকসবজি, ডাল ও টক দই তালিকাভুক্ত করতে পারলে ভালো। ডাবের পানি পান করতে পারেন।
যদি কোনো পানীয় পান করেন তবে চিনিমুক্ত পানি বেছে নেয়াই উত্তম।
যদি মিষ্টি পানীয় পছন্দ করেন, তবে সুইটনার যেমন- ক্যানডেরাল, জিরো ক্যাল বা সুইটেক্স ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন (এগুলোও বর্জন করাটা বেশি সুস্বাস্থ্যকর হবে)।
ভাজা পোড়া খাবার যেমন- পিঁয়াজু, বেগুনি, পুরি, পরোটা কাবাব অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।
খাদ্যের ক্যালরি ঠিক রেখে খাওয়ার পরিমাণ এবং ধরন ঠিক করতে হবে।
সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণ খাওয়া প্রয়োজন।
রমজানের পূর্বে যে পরিমাণ ক্যালরি যুক্ত খাবার খেতেন রমজানে ক্যালরির পরিমাণ ঠিক রেখে খাবার সময় এবং ধরন বদলাতে হবে। প্রয়োজন হলে নিউট্রিশনিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে খাবার তালিকা ঠিক করে নিতে হবে।
লক্ষ্য রাখতে হবে ওষুধের সঙ্গে খাবারের যেন সামঞ্জস্য থাকে।
ইফতারের সময় অতি ভোজন এবং শেষ রাতে অল্প আহার পরিহার করতে হবে, বরং উল্টোটা হতে পারে।
রোজায় ডায়াবেটিক রোগীর ওষুধের সমন্বয় :
যারা দিনে একবার ডায়াবেটিসের ওষুধ (যে সমস্ত ওষুধ ইনসুলিন এর পরিমাণ বাড়ায়)
খান, তারা ইফতারের শুরুতে (রোজা ভাঙার সময়) সেটি খাবেন, তবে ডোজ একটু কমিয়ে নিতে হতে পারে।
যারা দিনে একাধিকবার ডায়াবেটিসের ওষুধ খান তারা সকালের মাত্রাটি ইফতারের শুরুতে এবং রাতের মাত্রাটির অর্ধেক পরিমাণে সেহিরর আধা ঘণ্টা আগে খেতে পারেন।
যেসব রোগী ইনসুলিন গ্রহণ করেন, তাদের রমজানের পূর্বেই ইনসুলিনের ধরন ও মাত্রা ঠিক করে নেয়া জরুরি।
সাধারণত রমজানের সময় দীর্ঘ মেয়াদি ইনসুলিন নেয়াটা ভালো।
দীর্ঘ মেয়াদি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ইনসুলিন যা দিনে একবার নিতে হয় যেমন ইনসুলিন খধহঃঁং অথবা ইনসুলিন ঞৎবংরনধ
কিংবা দিনে একবার থেকে দু’বার যেমন, ইনসুলিন খবাবসরৎ, এগুলোতে হাইপোগøাইসেমিয়ার আশঙ্কা অনেকটা কম।
যারা রোজার আগে সকালের ও রাতের খাবার আগে-২ বার ইনসুলিন (প্রি-মিক্সড) নিতেন, তারা সকালের ডোজটি সমপরিমাণেই ইফতারের আগে নেবেন, আর রাতের ডোজটির অর্ধেক ইফতারের আগে নেবেন।
রোজায় ডায়াবেটিক রোগীর ব্যায়াম :
ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যায়াম খুবই জরুরি কিন্তু রোজা রেখে দিনের বেলায় রোগীদের অধিক ব্যায়াম করা উচিত নয় এতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। রাতের বেলায় বিশেষ করে তারাবির নামজের পর ব্যায়াম করাই ভালো।
মনে রাখতে হবে তারাবির দীর্ঘ নামাজে কিছুটা ব্যায়াম হয়ে যায়।