রোগীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে নিত্য হয়রানি

89

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে রোগীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানাটানি করে বিশৃঙ্খলা করার ঘটনায় সকল ঔষধ কোম্পানির সার্ভে বন্ধের আদেশ দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু আদেশের ১০দিন অতিবাহিত হতে চললেও ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা এ আদেশ মানছেন না। বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়,পূর্বের ন্যায় এখনো হাসপাতালের সামনে রোগীদের প্রেসক্রিপশন টানাটানি করছে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
জানা যায়, দেশ তথা সীতাকুন্ড উপজেলার সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগী দেখার পর চেম্বার থেকে বের হয়ে আসা মাত্র রোগীর চারদিক ঘিরে প্রেসক্রিপশন দেখার হিড়িক ফেলে দেন বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। এতে রোগী ও রোগীর সাথে থাকা আত্মীয়-স্বজন নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়। ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা প্রেসক্রিপশন টানাটানি করতে গিয়ে অনেক রোগীর প্রেসক্রিপশন ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে অহরহ। যেটা রীতিমত আপত্তিজনক ঘটনা হিসাবে দেখছে রোগীরা। বিষয়টি অবগত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ ওসমানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ উপজেলার সকল বেসরকারি হাসপাতালের সামনে রোগীর প্রেসক্রিপশন দেখা অথবা টানাটানি বন্ধের নির্দেশ দিলেও এখনো কার্যকর হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগি এক রোগীর আত্মীয় মো.আরিফুল ইসলাম বলেন,‘আমি আমার এক আত্মীয়কে নিয়ে সীতাকুন্ড সদর বাজার এলাকায় একটি বেসরকারি হেলথ কেয়ারে ডাক্তার দেখিয়ে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথে ১০/১২ জন এম আর কোম্পানি প্রতিনিধি হুমড়ি খেয়ে আমাকে ঘিরে ফেলে প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে থাকে। এম.আর‘দের টানাটানিতে প্রেসক্রিপশনের একটি অংশ ছিঁড়ে যায়। আর অনেক রোগীর প্রেসক্রিপশনে গোপনীয় কিছু বিষয়ও থাকে। তাই এ প্রেসক্রিশন টানাটানি আইনগতভাবে বন্ধ হওয়া জরুরি বলে আমি মনে করি।’
এদিকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানাটানির বিষয়টি আদেশ হওয়ার ১০ দিন পরেও বন্ধ না হওয়ার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ ওসমানী বলেন,‘বিষয়টি আসলে অস্বস্তিকর, কারণ অনেক রোগীর প্রেসক্রিশনে গোপন কিছু বিষয় থাকে। এসব কথা চিন্তা করে আমি সকল ঔষধ কোম্পানির সার্ভে বন্ধ ঘোষণা করেছি। আমার জনবল কম থাকায় পুরোপুরি বন্ধ করতে পারিনি, তবে আগামীতে কেউ যদি এ আইন অমান্য করে, তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।’