রোগীর পেট থেকে বের হল এক ইঞ্চি পেরেক!

57

নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরে শহিদুল ইসলাম নামে এক রোগীর পেট থেকে ওষুধ সেবন করিয়ে প্রায় এক ইঞ্চি একটি পেরেক বের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে রোগীর পায়ুপথ দিয়ে পেরেকটি বের করা হয়। তবে রোগীর পেটে পেরেকটা কিভাবে গেলো সেটি এখনো জানা যায়নি। রোগীও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। এখন রোগীর অবস্থা স্বাভাবিক। তাকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শহিদুল ইসলাম নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন বøুতে কর্মরত আছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শহিদুল ইসলাম ও তার স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৩০ মার্চ দুপুরে পেটের ব্যাথা নিয়ে সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ সানাউল্লাহ শেলী পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সিন্ধান্ত দেন এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের। ৩১ মার্চ অপারেশনের জন্য শহিদুল ইসলামকে অপরাশেন থিয়েটারে নিয়ে গেলে নার্সরা অপারেশনের বিল আগে জমা দেওয়ার কথা জানান। টাকা জমা দিতে না পারায় অপারেশন করাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ডাক্তার শেলী। তারপর রেডিসন ব্লু কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে চিকিৎসক পরিবর্তন করেন। এরপর শহিদুলের চিকিৎসা শুরু করেন আরেক সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আহসানুল আবেদীন। রোগীর সাথে কথা বলার পর এপেন্ডেসাইটিস নিয়ে সন্দেহ হলে রোগীকে এক্সরে করার পরামর্শ দেন তিনি। এক্সরেতে রোগীর পেটে একটি পেরেকের অবস্থান ধরা পড়ে। শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য রোগীকে শেভরন থেকে এক্সরে করানোর পরামর্শ দেন। সেখানেও এক্সরে রির্পোটে রোগীর পেটে পেরেকের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে দেখতে পান। এর পর ডাক্তার আহসানুল আবেদীন শতভাগ নিশ্চিত হন রোগীর পেটে পেরেক রয়েছে। গত রবিবার রাতে ডাক্তার ওষুধ সেবন করিয়ে রোগীর পায়ুপথ দিয়ে একটি পেরেক বেরিয়ে আসে।
হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক নাহিদ হাসান বলেন, প্রথমে রোগীর এন্ডোস্কোপি করে রিপোর্টে দেখা যায় পেরেকটি বুকের নিচে রয়েছে। এরপর রোগীকে ওষুধ সেবন করিয়ে পেরেকটি বের করানো হয়। এখন রোগী সুস্থ আছেন। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে রোগী পেটে পেরেকটা কিভাবে গেলো তা এখনো জানা যায়নি। রোগীও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
এদিকে অপারেশনের আগে অগ্রিম টাকা জমা না দিলে রোগীকে অপারেশন না করার বিষয়ে রোগী ও স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসসিআর কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সিএসসিআরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সালাউদ্দিন মাহমুদ বলেন, রোগীর স্বজনদের এমন অভিযোগ সঠিক নয়। রোগীর পেটে পেরেকে আছে কিনা তা শতভাগ নিশ্চিত না হওয়ার আগে কোন ধরনের পদক্ষেপ দেওয়া ঠিক হবে। তাই পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পর শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পর ওষুধ সেবনের মাধ্যমে পেরেকটি বের করা হয়েছে। এতে সফলতা পাওয়া গেছে।