রোগীদের আপন হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলাম : ডা. সায়েবা

106

চিকিৎসায় একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান চিকিৎসক-গবেষক ‘সায়েবা মেথড’ এর উদ্ভাবক অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার বলেন, যেদিন মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলাম সেইদিন থেকেই রোগীদের আপন হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলাম। চিকিৎসক নয়, শিক্ষক হতে চেয়েছিলাম। তবে হয়েছি চিকিৎসক। প্রসব পরবর্তী রক্তপাত বন্ধে আমার উদ্ভাবিত ‘সায়েবাস মেথড’ কিংবা অসহায় নারীদের ফিস্টুলা বিনামূল্যে অস্ত্রোপচারের জন্য ‘মামস ইনস্টিটিউট অব ফিস্টুলা অ্যান্ড উইমেন্স হেলথ’-এর মতো প্রতিষ্ঠানসহ আরও অনেক সেবামূলক কাজের পেছনে আমার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, তা হলো রোগীদের বন্ধু হওয়া। এই অর্জন আমাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক এনে দিয়েছে। পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামে হলেও বাবার কর্মসূত্রে আমার শৈশব কেটেছে টাঙ্গাইল জেলার করটিয়া সা’দত কলেজের ক্যাম্পাসে। সেখানে আমার বাবা শিক্ষকতা করতেন। আমরা পাঁচ বোন, দুই ভাই। স্কুলজীবনের শুরু হয় টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ে। স্কুলজীবন শেষে ভর্তি হই করটিয়ার সা’দত কলেজে। পছন্দের বিষয় ছিল গণিত। খুব ইচ্ছা ছিল গণিতের শিক্ষক হবো। কিন্তু বাবার ইচ্ছায় ভর্তি হই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে। ইন্টার্নশিপ শেষ করার পর ওখানেই প্যাথলজির প্রভাষক হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করি। ১৯৮২ সালে ‘অবসটেট্রিকস ও গাইনোকোলজি বিষয়ে এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করি।
১৯৭৮ সালে চিকিৎসক মো. জাহাঙ্গীর কবিরের সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হই। আমাদের চার সন্তান জাকিয়া কবির, সারোয়াত জাহান কবির, মারগুব কবির ও সুমাইয়া কবির। আমি বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করার মাধ্যমে অগণিত নারীকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। সাপ্তাহিক আলোকিত স›দ্বীপ পত্রিকার উদ্যোগে কবি আবদুল হাকিম ফাউÐেশনের আয়োজনে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সম্প্রতি এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার উপস্থিত হতে না পারায় চট্টগ্রাম ক্লাবে তাঁকে অভিনন্দন সম্মাননা স্মারকসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী প্রদানকালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখ্তারকে উপহার সামগ্রী তুলে দেন কবি আবদুল হাকিম ফাউন্ডেশনের পক্ষে উপদেষ্টা মো. মোশাররফ হোসাইন, ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান, সমন্বয়ক কাজী জিয়া উদ্দিন সোহেল, অ্যাডভোকেট এস.এম মোস্তফা, লায়ন মাহমুদুর রহমান শাওন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি