রেল-বন্দরের অধিগ্রহণে গেছে অনেক জমি

28

‘সমাজ বিকাশের ধারায় পুঁজিবাদী আগ্রাসন ও নগরায়নের প্রভাবে দেশের অনেক লোক এখন গৃহহীন হয়ে পড়েছে। অথচ বাবুই পাখিও নিপুন কারুকাজে তাঁর বাসা বানিয়ে নেয়। সভ্যতার এত উন্নতি; তারপরও মানুষকে তাঁর মৌলিক অধিকার বাসস্থানের জন্য ভবঘুরের মত ক্রমাগত স্থান পরিবর্তন করতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরীর বিরাট একটা জনগোষ্ঠীও আজ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। নগরীর অনেক জমি অধিগ্রহণ করেছে রেল ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। বর্তমান সরকার মানুষের অন্য চার মৌলিক অধিকারের মত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বাসস্থান নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে’।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ‘সবার জন্য আবাসন: ভবিষ্যতের উন্নত নগর’- এই প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালিত হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, স্থপতি আবদুল্লাহ ওমর, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী জয়, ব্র্যাক আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এস এম মনিরুজ্জামান, মাঠ সমন্বয়কারী সুব্রত টুডুু, মনিটরিং অফিসার মো. মাসুম বিল্লাল, প্রশিক্ষক ইমতিয়াজ আরাফাত, কমিউনিটি আর্কিটেকট এইচ এম হোসেনুর রহমান।
তিনি বলেন, শহরের মানুষের আয় রোজগারের ব্যবস্থা থাকার পরও অনেকে আজ গৃহহীন। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। ২০৩১ সালের মধ্যে ইকোনোমিক বাংলাদেশ টাইগারে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই ক্রমাগত উন্নতিতে বিশ্ব এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশে এখন কাক্সিক্ষত মাত্রার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ফলে এখন লোডশেডিং নাই বললেই চলে। অর্থনৈতিক প্রতিযোগীতায়ও আমাদের দেশ এখন এগিয়ে। এই অগ্রযাত্রা কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। প্রশাসক ব্র্যাককে নগরের পতিত জমিতে ফলদ বৃক্ষ রোপণ ও নগরীর সৌন্দয্যবর্ধন কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহব্বান জানালে তারা এতে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। বিজ্ঞপ্তি