রেলের কারখানা তিনটি যন্ত্রাংশ তৈরি অন্যখানে!

169

দেশে রেল কারখানা তিনটি। কারখানাগুলো পাহাড়তলী, সৈয়দপুর আর পার্বতীপুরে অবস্থিত। রেলওয়ের তথ্যানুসারে, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ক্যারেজ ও ওয়াগন কারখানার যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৭ সালে। পার্বতীপুরে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কারখানা চালু হয় ১৯৯২ সালে। কারখানাগুলো প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল রেলওয়ের লোকোমোটিভ, ক্যারেজ ও ওয়াগনের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ এবং আয়ুষ্কাল ঠিক রাখার পাশাপাশি গতিশীলতা বজায় রাখা। এছাড়া কারখানাগুলোতে খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করার মেশিনও রয়েছে।
রেল কর্মকর্তাদের দাবি- এখানে লোকবল সংকট, বাজেট স্বল্পতা, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাব, পুরনো যন্ত্রপাতি এবং আধুনিক মেশিনারিজের অভাব রয়েছে। এসব কারখানায় ট্রেন পরিচালনায় যাবতীয় যন্ত্রপাতি মেরামত করাসহ স্টিম রিলিফ ক্রেন ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেল কোচ, ওয়াগন ইঞ্জিন মেরামতের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হয়। বহু আগে বৃটিশরা চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে প্রতিষ্ঠা করে বিশাল রেলওয়ে কারখানা। সেখানে বর্তমানে একহাজার একশজন কর্মচারী রয়েছে। পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ ছাড়াও সৈয়দপুর কারখানায় রেলের সব ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ করা হয়। সেখানেও ক্যারেজ, ওয়াগন ও লোকোমোটিভের এক হাজার ২০০ রকমের খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরির সক্ষমতা রয়েছে।
ইচ্ছে করলে সেখানেও খুচরা এসব যন্ত্রাংশ তৈরি করতে পারে পূর্বাঞ্চল রেল। আসাম-বেঙ্গল রেলপথকে ঘিরে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ১১০ একর জায়গার ওপর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ১৯০৩ সালে কারখানাটি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ি এবং স্টিম লোকোমোটিভ মেরামত কারখানায় রূপান্তরিত হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৫৩ সালের দিকে কারখানায় বিভিন্ন মেশিনশপ স্থাপন করে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ যাত্রীবাহী গাড়ি মেরামত ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ উৎপাদনের সুবিধাসহ পূর্ণাঙ্গ কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সৈয়দপুর কারখানায় আছে ২১টি শপ (উপ-কারখানা)। কারখানাটি রেলের ব্রডগেজ ও মিটারগেজ রেলপথের যাত্রীবাহী বগি (ক্যারেজ), মালবাহী বগি (ওয়াগন) এবং পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের স্টিম রিলিফ ক্রেনের সুষ্ঠু পরিচর্যা এবং আয়ুষ্কাল ঠিক রাখার পাশাপাশি কোচের গতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।