রেলস্টেশনে টিকিট পেতে দীর্ঘ লাইন

42

ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে টিকিট বিক্রির দ্বিতীয়দিনেও ১২ হাজার টিকিট ছাড়া হয়। গতকাল অ্যাপসের মাধ্যমে সকাল ৬টা ও কাউন্টারে সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এদিন আগামী ৮ আগস্টের টিকিট দেয়া হয়।
রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ পূর্বদেশকে বলেন, ‘সকাল থেকে যাত্রীরা দীর্ঘ লাইনে শান্তিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে টিকিটের অপেক্ষায় ছিল। সকাল ৯টা থেকে কাউন্টারে টিকিট দেয়া হলে পর্যায়ক্রমে সবাই টিকিট পেয়েছে। প্রথমদিনের ন্যায় দ্বিতীয়দিনও আন্তঃনগর ট্রেনের সাত হাজার ১৭টি ও লোকাল ট্রেনের চার হাজার ৯৭৮টি টিকিট ছাড়া হয়। কাউন্টারে আন্তঃনগর ট্রেনের তিন হাজার ৫৮৮টি টিকিট রাখা হয়।’
রেলওয়ে সূত্র জানায়, আজ ৩১ জুলাই বিক্রি হবে ৯ আগস্টের টিকিট, ১ আগস্ট ১০ আগস্টের, ২ আগস্ট ১১ আগস্টের টিকিট বিক্রি করা হবে। একইভাবে ৫ আগস্ট থেকে ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সেদিন ১৪ আগস্টের ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে। ৬ আগস্ট ১৫ আগস্টের, ৭ আগস্ট ১৬ আগস্টের, ৮ আগস্ট ১৭ আগস্টের, ৯ আগস্ট ১৮ আগস্টের ফিরতি টিকিট বিক্রি করা হবে।
রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সাতটি কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি কাউন্টারের সামনেই যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করেছেন। তবে প্রথমদিনের তুলনায় গতকাল প্রতিটি কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করেছেন যাত্রীরা। ১নং কাউন্টারে মহিলা, ওয়ারেন্ট, রেলওয়ের পাশ, ২নং কাউন্টারে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, ৩নং কাউন্টারে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের, ৪নং কাউন্টারে তুর্ণা, মেঘনা এক্সপ্রেস ও চাঁদপুর স্পেশাল, ৫নং কাউন্টারে মহানগর গোধুলী, মহানগর এক্সপ্রেস, ৬নং কাউন্টারে বিজয় এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস এবং ৭নং কাউন্টারে চলতি টিকিট বিক্রি করা হয়।
টিকিট পেয়ে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ফয়জুন হামিদ বলেন, ‘টিকিট নিতে সকাল ৬টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। সাড়ে তিনঘণ্টা অপেক্ষার পর কাক্সিক্ষত টিকিট পেয়েছি। টিকিট পেয়ে বাড়ি যাওয়া নিশ্চিত হলো। অন্যথায় যাত্রা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম।’