রেলমন্ত্রীকে ফুল দিতে গিয়ে শ্রমিকলীগের হাতাহাতি

45

সিআরবিতে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে শ্রমিকলীগ নেতাকর্মীরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছেন। পরে মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ জন্য মন্ত্রীর সঙ্গে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্ধারিত মতবিনিময় সভাও প্রায় ১৫ মিনিট আটকে থাকে।
গতকাল রবিবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর সিআরবির সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। রেলওয়ের জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনীতে যোগ দিতে আসা মন্ত্রী দুপুর দেড়টার দিকে সিআরবিতে পৌঁছান।
মন্ত্রী সেখানে পৌঁছার আগে থেকেই শ্রমিক লীগ নেতা লোকমান হোসেন ও সিরাজুল ইসলামের সমর্থক নেতাকর্মীরা রেলভবনে পাল্টাপাল্টি মিছিল শুরু করে। একাংশের মিছিলে লোকমানকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেলেও সিরাজুল ইসলামকে দেখা যায়নি।
মন্ত্রী সম্মেলন কক্ষে পৌঁছানোর আগে থেকেই এর প্রবেশপথে অবস্থান নেন দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। চলতে থাকে পাল্টাপাল্টি স্লোগান। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে মন্ত্রীকে সম্মেলন কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করান।
মন্ত্রী এসে আসনে বসার পরপরই দরজার সামনে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। লোকমান হোসেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের বাধা ঠেলে ভেতরে ঢুকে যান। নিরাপত্তা কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে কমপক্ষে ২০ জন লোকমানের সঙ্গে ভেতরে ঢুকে পড়েন। তারা ফুল নিয়ে মন্ত্রীর পেছনে এসে দাঁড়ান। তখন অন্যরা ভেতরে ঢুকতে না পেরে তুমুল হট্টগোল ও দরজায় আঘাত করতে শোনা যায়।
সার্বিক অবস্থায় মন্ত্রী আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে যান। তিনি ভেতরে থাকা শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের বেরিয়ে যেতে বলেন। মন্ত্রী তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি জেলা (পঞ্চগড়) আওয়ামী লীগের সভাপতি। আমি ডাকসুতে ছিলাম। আপনারা বিশৃঙ্খলা করছেন কেন ? আমি তো আপনাদের কথা শুনবো বলেছি।’
এসময় মন্ত্রীকে আরও কিছুক্ষণ নিচুস্বরে কথা বলতে শোনা যায়। একপর্যায়ে কয়েকজনের পিঠে হাত দিয়ে তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি।
লোকমান হোসেন মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা ফুল দিয়ে চলে যাব।’ তবে মন্ত্রী তাদের হাত থেকে ফুল নেননি।
এর মধ্যে সম্মেলন কক্ষের বাইরে পাল্টাপাল্টি স্লোগান চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পাল্টাপাল্টি স্লোগানের মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছে।­