রেজাউলকে জয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ

71

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে জয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে গতকাল নগরীর হোটেল পেনিনসুলায় উত্তর, দক্ষিণ ও নগর আওয়ামী লীগের নেতারা এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সভা থেকেই রেজাউল করিমের পক্ষে জোরালো অবস্থান তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ নেতারা। একই সাথে কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়েও আলোচনা হয়। সভায় উত্তর, দক্ষিণ ও নগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা ছাড়া বাইরের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এ সভা চলে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় ও নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, দিদারুল আলম, মাহফুজুর রহমান মিতা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, খদিজাতুল আনোয়ার সনি, সিডিএ বর্তমান চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম দোভাষ, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু প্রমুখ। সভায় বক্তব্যকালে নেতারা বিভিন্নভাবে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থিত থাকা কয়েকজন নেতা জানান, সভায় পুরো সময় নৌকার মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে ঐক্যবদ্ধভাবে জেতানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। নেতাদের সবার সমন্বয়ে কিভাবে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করে চট্টগ্রাম সিটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়া যায় সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো তুলে ধরে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালানো হবে। এছাড়াও নির্বাচনী কর্মকান্ডে বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে ইমেজ আছে এমন নেতাদের যুক্ত করার কথাও বলেছেন কেউ কেউ।
কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে উপস্থিত নেতারা জানান, সভায় বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বসানোর বিষয়েও মতামত দেয়া হয়েছে। আবার অনেকেই বলছেন দলীয় প্রতীক যেহেতু নেই একটু নমনীয় হলে ভালো হয়। যদি বসাতেই হয় তাহলে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে বুঝিয়ে বসাতে হবে। আবার কেউ কেউ বলেছেন প্রার্থী বেশি হলে ভোটার বাড়বে। আর ভোটার বাড়লেই মেয়র পদে নৌকা প্রার্থীর সুবিধা হবে। সবকিছুর পরেও মেয়র পদে নৌকা প্রার্থী ও কাউন্সিলর পদে নেত্রী ঘোষিত দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।