রাাঙ্গুনিয়ায় রান্না ঘরে পেঁয়াজ নেই

40

পেঁয়াজের বাজারে আবারও দাম বৃদ্ধি। কিছুতেই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। রান্নার ঘরে এখন পেয়াজের দেখা মিলছেনা। প্রতি কেজিতে আবারও ৯০টাকা দামে বিক্রি করছে। মিয়ানমার থেকে ৪২ টাকা কেজির আমদানি পেঁয়াজ এখানে ৯০ টাকা দামে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। বাজারে পর্যাপ্ত পেয়াজ থাকলেও দাম নিচ্ছে অস্বভাবিক। সাধারণ মানুষ এসব ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। রাঙ্গুনিয়ার সর্বস্তরের জনগন প্রশাসনের কাছে আবারো অভিযান পরিচালনা করার জোর দাবি জানিয়েছেন। স্বাভাবিক দামে যেন পেয়াছ কিনতে পারে সে ব্যবস্থ্যা কবে ফিরে আসবে তার নিশ্চয়তার দেখা মিলছে না। যারা বিত্তশালী তারাই পেয়াজ কিনতে পারছে। সাধারণ খেটে খাওয়া অসহায় গরীব মানুষ গুলোর জন্য পেয়াজ কেনা দুরহ বিষয়ে পরিণত হযেছে। রাঙ্গুনিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র লিচুবাগান, দোভাষীবাজার, চৌমহনী রোয়াজার হাট, পোমরা, শান্তির হাট, উত্তর রাঙ্গুনিয়ার মোগলের হাট, ধামাইর হাট, রানীর হাট, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ক্ষেত্র বাজার, শিলক বহু চক্রের হাট, দশমাইল বাজার, এলাকার মুদি দোকান গুলোতে এখন ৯০ টাকা দামে পেয়াজ বিক্রি করছে। সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তে এখানকার ব্যবসায়ীরা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দামে কেজি পেঁয়াজ কিনে এনে এখানে বাজারে ৯০ টাকা করে বিক্রি করছে। চলতি মাসের প্রথম দিকে পেঁয়াজের দাম যখন ১শ টাকায় বিক্রি করছে সে সময়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসন টানা কয়েক দিন অভিযান পরিচালনা করাতে পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকায় নেমে আসে।
গত ৪-৫ দিন থেকে আবারো বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডকেট করে অস্বভাবিক ভাবে দাম বাড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হচ্ছে উপজেলার গ্রামের দোকানগুলো থেকে যারা পেয়াজ কিনছে। তারা যা ইচ্ছে দাম নিচ্ছে। গ্রামের সহজ সরল মানুষ গুলো এত কারসাজি বুঝে না। রান্না ঘরে গৃহিননীরা রান্নার তালিকা থেকে পেঁয়াজ বাদ দিয়ে রান্না করছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত করে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ক্ষেত্রে জনগনকেও সচেতেন হতে হবে।