রাস্তায় পরিচয়, ‘বোন ডেকে’ সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

86

অসুস্থতার সূত্র ধরে কর্ণফুলীর ব্রিজঘাট এলাকার রাস্তায় পরিচয়। এরপর ভাই-বোন ডাকাডাকি। পরে ভাই কর্তৃক বোনকে ৮০০ টাকা ধার। আর ধারের সে টাকা ফেরত দিতে এলেই গৃহবধূকে ফুসলিয়ে কর্ণফুলীর জুলধা ইউনিয়নস্থ শুক্কুরের ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিকদের ঘরে নিয়ে করা হয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ। গত বুধবার রাতে গণধর্ষণের ওই ঘটনা ঘটে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কর্ণফুলী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ৫ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে। গতকাল শুক্রবার তাদের বিশেষ আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে তারা দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এ প্রতিবেদন লেখার সময় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের জবানবন্দি চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ।
গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকরা হলেন, কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ ইলিয়াছ (৩২), জুলধা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউনুচের পুত্র আলী প্রকাশ চঙ্কু (৩০), পশ্চিম চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল কালামের পুত্র মোহাম্মদ ইউনুছ (২৫), চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ নুরুজ্জমানের পুত্র কামাল উদ্দীন (২৮) ও একই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইয়াকুবের পুত্র মোহাম্মদ সেকান্দর (৩৩)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জুন বুধবার রাত ১০টা সাড়ে ৩ পর্যন্ত ওই গৃহবধূকে কর্ণফুলী থানাধীন জুলধা ইউনিয়নস্থ শুক্কুর ব্রিক ফিল্ডের পরিত্যক্ত পাকমিল ঘরে নিয়ে ৫ জন মিলে গণধর্ষণ করে। এরপর গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ কথিত ভাইয়ের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর আলমগীর মাহমুদের নির্দেশে ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ এর নেতৃত্বে টানা অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ জানান, অভিযোগ প্রাপ্ত হওয়ার পর একটি গণধর্ষণের মামলা রেকর্ড করা হয়। এরপর রাতে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে পুলিশ গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৫ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে। এরপর শুক্রবার বিকালে তাদের বিশেষ আদালতে নেওয়া হলে তারা সেখানে জবানবন্দি দেয়।