রাসায়নিক পরীক্ষা করবে কাস্টমস

55

চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ হওয়া প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ৩০টি কন্টেইনারের রাসায়নিক পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্যের প্যাকেটের গায়ে সিমেন্ট লেখা থাকলেও তা আদৌ সিমেন্ট নাকি আরো মূল্যবান কোনো রাসায়নিক পণ্য, তা খতিয়ে দেখা হবে। এরই মধ্যে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ এনে প্রাণের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুÐু জানান, প্রাণের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। পণ্যের প্যাকেটে সিমেন্ট লেখা থাকলেও এর রাসায়নিক পরীক্ষা করা হবে। সিমেন্টই হলে সেখানে ওভার কিংবা আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সেক্ষেত্রে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টিও সামনে চলে আসতে পারে। আর এর কোনোটিই যদি না হয়, তবে জরিমানাসহ শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে প্রাণের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১ জুন পণ্যের শুল্কায়ন-পরবর্তী খালাসের সময় কন্টেইনারের ভেতরে প্লাস্টিক রেজিনের পরিবর্তে সিমেন্টের ব্যাগ পাওয়া যায় বলে তারা জানতে পারেন। ওইদিনই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এলসির পেমেন্ট বাতিলের জন্য ৩ জুন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংককে অনুরোধও করা হয়। প্রাণের দাবি, এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠান কোম্পানির সঙ্গে জালিয়াতি করেছে। এ বিষয়ে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১১ জুন) আরব আমিরাত থেকে আমদানি হওয়া ৩০ কন্টেইনার পণ্যের চালান জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের আনস্টাফিং বিভাগ। প্রাণ-আরএফএল গ্রæপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাণ ডেইরি লিমিটেড নথিতে প্লাস্টিক দানা ঘোষণা দিলেও সেখানে পাওয়া যায় ৫১০ টন সিমেন্ট। চট্টগ্রাম বন্দরে গত ২৬ মে চালানটি এসে পৌঁছায়। বন্দর থেকে এসব পণ্য খালাস করতে সিঅ্যান্ডএফ হিসেবে কাজ করে প্রাণ-আরএফএল গ্রæপেরই আরেক সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাণ বেভারেজ। প্রতিষ্ঠানটি ৬ জুন রাতে ঈদের ছুটিতে চালানটি খালাসের চেষ্টা করে। তবে পণ্যের পরীক্ষণে সন্দেহ হলে চালানটি আটকে দেয় কাস্টমসের আনস্টাফিং বিভাগ। গত মঙ্গলবার রাতে বন্দরের ইয়ার্ডে ৩০টি কন্টেইনার খুলে সবগুলোতেই সৌদি আরবের জেবল আলী ব্র্যান্ডের সিমেন্ট পাওয়া যায়।