রাশিয়ার ত্রাণ গ্রহণ করেছে ভেনেজুয়েলা

24

ভেনেজুয়েলার বর্তমান সরকারকে উৎখাত করতে চাওয়া দেশগুলোর ত্রাণ সীমান্তে আটকে রাখা হলেও রাশিয়ার পাঠানো ত্রাণ গ্রহণ করা হয়েছে। খাদ্য ও ওষুধ মিলিয়ে ৩০০ টন রুশ ত্রাণের কথা আগেই জানিয়েছিলেন মাদুরো। পরবর্তীতে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার’ সহযোগী একটি সংস্থা বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে, ভেনেজুয়েলাতে রাশিয়ার ত্রাণ পাঠানোর বিষয়ে।
রাজনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে ত্রাণ নিয়ে ভেনেজুয়েলায় দেখা দিয়েছে বিরোধপূর্ণ অবস্থান। হোয়ান গোয়াইদো জানিয়েছেন, তিনি ভেনেজুয়েলানদের জন্য পাঠানো আন্তর্জাতিক ত্রাণ বিতরণ করতে চান। অন্যদিকে, ভেনেজুয়েলার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো বলেছেন, ভেনেজুয়েলা ভিক্ষুক নয়, যে মার্কিন ত্রাণ গ্রহণ করবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ তার পশ্চিমা মিত্ররা মনে করে, আন্তর্জাতিক ত্রাণ গোয়াইদোর মাধ্যমে ভেনেজুয়েলায় বিতরণ করা সম্ভব হলে তা মাদুরোর ভাবমূর্তিকে দেশবাসীর সামনে ম্লান করে দিতে সক্ষম হবে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, দেশটি একাই ২ কোটি ডলারের ত্রাণ ভেনেজুয়েলার জন্য পাঠিয়েছে। সীমান্তে হাজার হাজার টন ত্রাণ বোঝাই ট্রাক অপেক্ষমাণ। ভেনেজুয়েলা কোনওভাবেই সেগুলোকে ঢুকতে দিতে রাজি না। এ নিয়ে বিরোধী কর্মী সমর্থক ও ভেনেজুয়েলার নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
কিন্তু রাজনৈতিকভাবে রাশিয়ার সমর্থন পাওয়া ভেনেজুয়েলা গ্রহণ করছে রাশিয়ার পাঠানো ত্রাণ। ভেনেজুয়েলাতে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার’ (হু) সঙ্গে কাজ করা সংগঠন ‘প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন’ নিশ্চিত করেছে, ভেনেজুয়েলাতে রুশ ত্রাণ পৌঁছানোর কথা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার পাঠানো সাত দশমিক পাঁচ টন চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধ গেছে ভেনেজুয়েলাতে। একই রকম আরেকটি চালান পাঠানো হয়েছিল ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে। গত বছর সব মিলিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে ৫০ টনের মতো চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধ পেয়েছে ভেনেজুয়েলা। আর এসব ত্রাণ তত্ত্বাবধান করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে শুধু রাশিয়ায় নয়, জাতিসংঘের সংস্থা ও নরওয়ের সংস্থার কাছ থেকে ভেনেজুয়েলা গত বছর ত্রাণ সহায়তা গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘের ‘ফিন্যান্সিয়াল ট্র্যাকিং সার্ভিস’ জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২০১৮ সালেই দুই কোটি ৪০ লাখ ডলারের ত্রাণ পেয়েছে ভেনেজুয়েলা। এদের মধ্যে যেমন আছে হুয়ের অর্থ তেমনি আছে ‘নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের’ সহায়তা। এ বছর এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলাতে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর জন্য দেড় কোটি ডলারের বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।