রামুতে অগ্নিকান্ডে ৫টি বসতঘর পুড়ে ছাই

35

কক্সবাজারের রামুতে অগ্নিকান্ন্ডে ৫টি বসতঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটায় উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের পশ্চিম নোনাছড়ি এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকরা হলেন, মৃত মোজাফফর আহমদের ছেলে গোলাম কবির প্রকাশ গুরা মিয়া, গোলাম কবির প্রকাশ গুরা মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন, মো. ইসমাইল ও নুরুল আলম এবং মৃত মো. হোছনের স্ত্রী হোসনে আরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তালেব জানান, আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সাথে তা আশপাশের বাড়িগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে এসব পরিবারের সদস্যরা কোন মালামাল রক্ষা করতে পারেনি।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, কিভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে রান্নার চুলা বা বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকান্ড চলাকালে বসত বাড়ি দাউ দাউ করে পুড়তে দেখে জ্ঞান হরিয়ে ফেলেন নুরুল আলমের স্ত্রী লাকী আকতার। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রামু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর দমকল বাহিনীর নেতা নিবাস বড়–য়া জানান, খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। তবে চলাচলের পথ না থাকায় ফসলী জমি দিয়ে গাড়ি অগ্নিকাÐস্থলে পৌঁছতে বিলম্ব হওয়ায় অগ্নিকান্ডে ৪টি বসত বাড়ি এবং আরো একটি পাকা বাড়ি আংশিক পুড়ে গেছে।
জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল সামশুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স আরো জানান, আগুনে ৪টি বসতঘর পুরোপুরি পুড়ে গেছে, এসব পরিবার খুবই দরিদ্র। তাই পরিবারগুলো এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তিনি এসব পরিবারকে সহায়তা প্রদানের জন্য সংসদ সদস্য, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত গৃহকর্তা রুহুল আমিন জানান, তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী নারগিস সুলতানার সব বই-খাতা ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ পুড়ে গেছে। নারগিস সুলতানা জোয়ারিয়ানালা এইচএম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয় হতে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।