রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারতমৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন

58

খাগড়াছড়ি রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নির্মাণসহ এপ্রোচ সড়কের বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি রবিবার দুপুরে পরিদর্শন করেন দু’দেশের ডিসি ডিএম প্রতিনিধি দল। এসময় ১২ সদস্যের বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মো. সাহীদ মোমেন মজুমদার এবং ভারতের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ডিএম দক্ষিণ ত্রিপুরা প্রতিনিধি ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট ড. টি,কে দেবনাথ। পরির্দশন শেষে ভারতের আমন্ত্রনে দু’দেশের প্রতিনিধি দল বৈঠকে মিলিত হন। স্থলবন্দর ও এপ্রোচ সড়কের বিভিন্ন চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে বৈঠকে মিলিত হয়ে প্রতিনিধিগণ বলেন,২০১৫ সালের ৬ জুন ঢাকা সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক আনুষ্ঠানিকতায় স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে ফেনী নদীর উপর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ এর ভিত্তি প্রস্তর প্রতিস্থাপন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। উভয় দেশের প্রতিনিধিগণ দীর্ঘ দিনের আশা পূরণ হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। সীমান্ত নদী ফেনী নদীর উপর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নির্মাণ করা হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ৪৩ বিজিবি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল তারিকুল হাকিম, চট্টগ্রাম জোনের সড়ক ও জনপদের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল ওয়াহিদ, খাগড়াছড়ি জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মো. ফয়সাল, রাঙামাটি জেলা সড়ক ও জন পদের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত, রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভা.)সরওয়ার উদ্দিন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- উভয় দেশের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সাংবাদিক প্রমুখ।
প্রকল্পের আওতায় প্রধান কাজসমূহ হলো – বাংলাদেশ অংশে ২.৮৬ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট সেতু নির্মাণ, প্রস্থ- ১৪.৮০ মিটার, মূল নদীর স্প্যান ৮০ মিটার, উভয় পাশে স্প্যান ১০০মিটার, বাংলাদেশ প্রান্তে ৬টি ভায়াডাক্ট এর দৈর্ঘ্য ১৭৭মিটার, ভারতের প্রান্তে ২টি ভায়াডাক্ট এর দৈর্ঘ্য ৫৫ মিটার, বাংলাদেশ অংশে এপ্রোচের দৈর্ঘ্য ২৮৯ মিটার।