রামগড়কে জেলা ঘোষণার দাবিতে মতবিনিময় সভা

144

পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৯২০ সালের মহকুমা শহর রামগড়কে জেলায় রূপান্তরের দাবীতে বুধবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, রামগড় উপজেলা আ’লীগের আহব্বায়ক মো. শাহআলম মজুমদার, জেলা আ.লীগের সদস্য শের আলী ভূঁইয়া, বেলায়েত হোসেন, হেঁয়াকো বনানী কলেজের অধ্যক্ষ ফারুকুর রহমান, পৌর আ.লীগের আহব্বায়ক রফিকুল আলম কামাল, রামগড় বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল হাশেম খান, মুক্তিযোদ্ধা ছালেহ আহাম্মদ, সংরক্ষিত উপজেলা পরিষদ সদস্য কনিকা বড়ুয়া, কার্বারি এসোসিয়েশনের সভাপতি আনন্দ মোহন ত্রিপুরা, ব্যবসায়ী ফয়েজ আহাম্মদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহ আলম, আ.লীগ নেতা সামছুদ্দিন মিলন, সাংবাদিক মোশারফ হোসেন, ন্যাশনাল সার্ভিস একতা কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. মোস্তফা ইহজাজ ও রামগড় যুব রেড ক্রিসেন্টের উপ-প্রধান আফছার হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯২০ সালের সাবেক মহকুমা শহরের ঐতিহ্যবাহী রামগড় একসময় ৪টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গড়ে উঠা রামগড় উপজেলা বর্তমানে ২টি ইউনিয়ন নিয়ে অসহায় অবস্থায় আজ তার জৌলুস হারাতে বসেছে। অথচ যে চারটি উপজেলা মহকুমা হওয়ার পরেও জেলায় উন্নতি হয়নি তাদের মধ্যে রামগড় জেলার অন্যতম দাবীদার। কারণ একটি উপজেলায় যে প্রশাসনিক কার্যালয়গুলো থাকার কথা তার সবগুলো থাকার পরও রয়েছে কিছু রঅতিরিক্ত শাখা। যার কারণে রামগড়কে জেলা করা হলে সরকারকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবেনা বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা। রামগড়ে ১৭৯৫ সালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) জন্ম। মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর ছিলো রামগড়ে। রামগড়ে রয়েছে পৌরসভা, তথ্য অফিস, জেলখানা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কাস্টম অফিস, পিডবিøউ অফিস, টিএন্ডটি অফিস, মৎস্য হ্যাচারি, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, হর্টিকালচার সেন্টার, সার্কেল পুলিশ কার্যালয়, স্টেডিয়াম, সরকারি-বেসরকারি ৫টি ব্যাংক, ফাজিল মাদ্রাসা, সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। সর্বশেষ বর্তমানস রকারের ঘোষিত রামগড় স্থলবন্দর যা কাজের অগ্রগতি চলমান। বক্তারা আরো বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলা মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, রামগড়, লক্ষীছড়ি ও মানিকছড়ি নিয়ে রামগড় জেলা হলে এই এলাকার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ায় পাশাপাশি ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। এসময় সভায় রামগড়কে জেলায় রূপান্তরের দাবীতে ফেষ্টুন, ব্যানার, মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি, সম্ভাব্য আশপাশের উপজেলায় সফর, আলোচনা সভা, সংবাদ সম্মেলন, বাস্তবায়ন কমিটি গঠন, সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানোসহ সংসদ সদস্যের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যৌক্তিক দাবীটি তুলে ধরার জন্য দাবী জানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এসময় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, জন প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।