রান্না করা নিয়ে ঝগড়া থেকে বন্ধুকে খুন

59

মো. সুজন মুন্সি (২০) ও মো. সুমন শেখ (২৪) দুই বন্ধু চাকরি করতেন একই প্রতিষ্ঠানে। থাকতেন একই বাসায়। ব্যাচেলর বাসায় নিজেরা পালা করে রান্না করতেন নিজেদের খাবার। কিন্তু এ রান্না করা নিয়ে ঝগড়া থেকে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে খুন করেছে। গতকাল সোমবার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমনটা জানিয়েছেন আসামি মো. সুমন শেখ।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি মো. সুমন শেখ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দীন আহমেদ বলেন, বন্ধুকে খুনের ঘটনায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি মো. সুমন শেখ। তিনি বলেন, জবানবন্দিতে সুমন শেখ জানিয়েছে- বাসায় রান্না করা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুজন মুন্সিকে গ্লাস দিয়ে আঘাত করলে সে মারা যায়।
গত ২৪ আগস্ট বিকেলে ইপিজেড থানার বন্দরটিলা বাহাদুর কলোনীর আলমগীরের বিল্ডিংয়ে বন্ধু সুমন শেখের হাতে খুন হন সুজন মুন্সি। নিহত সুজন মুন্সি ও সুমন শেখ দুইজনই ইপিজেড থানার বন্দরটিলা টাওয়াল হেভেন ইন্ডাষ্ট্রি লিমিটেড নামক ফ্যাক্টরীতে প্রোডাকশন কর্মী হিসেবে কর্মরত। খবর বাংলানিউজের
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. নূরুল হুদা বলেন, গত সাত মাস ধরে একই বাসায় থাকতেন সুজন মুন্সি ও সুমন শেখ। দুইজনই ইপিজেড থানার বন্দরটিলা টাওয়াল হেভেন ইন্ডাষ্ট্রি লিমিটেড নামক ফ্যাক্টরীতে প্রোডাকশন কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাসায় নিজেরা পালা করে রান্না করতেন নিজেদের খাবার। শনিবার দুইজনই নাইট শিফটে ডিউটি করে বাসায় আসে। সেদিন রান্না না হওয়ায় দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সুজন মুন্সি সুমন শেখকে হাতে কামড় দেয়। পরে সুমন শেখ গ্লাস দিয়ে সুজন মুন্সিকে মাথায় আঘাত করে। পরে সুজন মুন্সি মারা যায়। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে সুমন শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।