রানার এলপিজি সিলিন্ডারে সিএনজি অটোরিক্সা চালানো বন্ধ করা জরুরি

83

দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার এক প্রতিবেদন হতে জানতে পারি কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার অভ্যান্তরিন সড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলছে রান্নার এলপিজি সিলিন্ডার দিয়ে। প্রযুক্তি মানব কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের প্রত্যেক সেক্টরে গতি এসেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে দেশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। প্রযুক্তি সময়, শ্রম এবং ব্যয়ভার কমিয়ে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে দিচ্ছে। যা আগামীর বাংলাদেশকে মধ্য-আয়ের দেশে পরিণত করার পথে সহায়তা করছে। আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন টেকসই হওয়া বাঞ্চনীয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এনালগ জোড়াতালি কোন অবস্থায় দেশের টেকসই প্রযুক্তিকে সহায়তা করবে না, বরং বাধাগ্রস্থ করবে। তাই আমাদের প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের অবদান টেকসই হওয়া জরুরি। দেশে পরিবহন সেক্টরে কিছু কিছু পরিবর্তন আমাদের জন্য উপকারী মনে হয়েছে। যেমন ডিজেল ইঞ্জিনকে গ্যাস দ্বারা পরিচালনা করায় আমরা সফল হয়েছি। কেননা তেলের চেয়ে গ্যাসের মূল্য আমাদের দেশে অপেক্ষাকৃত কম। যে কারণে পরিবহন মালিকরা ডিজেল ইঞ্জিনকে গ্যাসের মাধ্যমে চালিয়ে বহু টাকা সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে। যান্ত্রীক-যানে এ ধরনের ব্যবস্থা আমাদের অনুক‚ল। কিন্তু গ্যাস ব্যবহারে অতিরিক্ত সিলিন্ডার ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। যানবাহনে যাত্রী সাধারণ ও চালক হেল্পারের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের গাড়িতে অতিরিক্ত গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ইত্যাদিতে অতিরিক্ত গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার জনিত কারণে বহু দূর্ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে। আমরা সকল গাড়িতে অতিরিক্ত গ্যাস সিলিন্ডার বর্জনের পক্ষে। গাড়িতে গ্যাস রাখার জন্য তেল ডিজেলের টাঙ্কির মতো গ্যাসের টাঙ্কি স্থাপন করা যায়। আর সেভাবে নিরাপদ স্থানে টাঙ্কি বসিয়ে গ্যাস ব্যবহার করলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকে না।
দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার ৫ সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদন বলছে কক্সবাজারে বিভিন্ন উপজেলার আভ্যান্তরিন সড়কে রান্নার এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বসিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা চালাচ্ছে গাড়ির মালিক ও চালকরা। বিষয়টি মহাবিপর্যয়ের অশনি সংক্ষেত। একে তো গ্রামাঞ্চলে যে সব সিএনজি অটোরিক্সা চলে তাদের কোন নম্বর প্লেইট নেই। অধিকাংশ ড্রাইভারের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। তার উপর তারা রান্নার গ্যাস দিয়ে চালাচ্ছে সিএনজি অটোরিক্সা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। মানুষ দ্রুত কোথাও যাবার জন্য সিএনজি অটোরিক্সার আশ্রয় নেয়। গ্রামাঞ্চলে একটি সিএনজি অটোরিক্সায় তিন জনের তথা চালকসহ চারজন ধরে এমন গাড়িতে চালকসহ ৬ জন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়। এদের জীবন খুবই ঝুঁকির মধ্যে সময় পার করে।
স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিৎ, দেশের যে সব স্থানে এমন মারাত্মক জীবন ঝুঁকির মধ্যে সিএনজি অটোরিক্সা চালানো হয়, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ। যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা বিধানে সহায়তা করা জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য- এমন মত সর্বসাধারণের।