রাজস্থানের রাজকীয় রেকর্ড

33

টানা চারটি ম্যাচ একতরফা শেষ হওয়ায় মরুভূমির আইপিএলে কেমন ঘুম পাড়ানি ভাব এসে গিয়েছিল। সেটি কেটে গেল রবিবার রাতের ম্যাচে। মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবারের আইপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করলেন, তার অধিনায়ক কেএল রাহুলের সেঞ্চুরির পরের ইনিংসটি হলো ৬৯ রানের। কিন্তু বিফলে গেল অসাধারণ দুটি ইনিংস। পাঞ্জারের ২২৩ রান তাড়া করে ম্যাচ জিত নিলো রাজস্থ্যান রয়্যালস। আইপিএলের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড।
মূলত সঞ্জু স্যামসন এবং শেষ তিন ওভারে রাহুল তেওয়াতিয়ার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে এই রান চেজ সম্ভব হয়েছে। স্টিভেন স্মিথের ৫০ রানের ইনিংসটিও ছিল মূল্যবান। স্যামসন এদিনও ব্যাটে ঝড় তুলে ৪২ বলে করেছেন ৮৫ রান, যাতে ছিল চারটি চার ও সাত ছক্কা। কিন্তু ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই তিনি যখন মোহাম্মদ শামির বলে ক্যাচ দিয়ে যান উইকেটকিপারকে, ২৩ বলে রান ৬৩। এটা খুবই কঠিন মনে করাচ্ছিলেন অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যান তেওয়াতিয়া। ২১ বলে তখন তার রান মাত্র ১৪! মারকুটে বলে পরিচিত বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রানই নিতে পারছিলেন না, একটি চার পর্যন্ত মারতে পারেননি। সেই তেওয়াতিয়াই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বাঁহাতি পেসার শেলডন কটরেলের পরের ওভারে মেরেছেন পাঁচ ছক্কা।
অসাধারণ এক রান তাড়ায় জয় । দুটি ম্যাচই জিতে স্টিভেন স্মিথের দল উঠে গেল পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করা পাঞ্জাব ২২৩ রারে পাহাড় গড়ে মূলত মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সেঞ্চুরি ও অধিনায়ক কেএল রাহুলের ৬৯ রানের কল্যাণে। তখন কী পাঞ্জাব ভাবতে পেরেছে ২২৩ রানও তাড়া করে ফেলবে রাজস্থান! কেউই আসলে ভাবতে পারেনি শারজার মাঠ গড়ে ফেলবে আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার ইতিহাস!
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাঞ্জাব- ২০ ওভারে ২২৩/২(আগরওয়াল ১০৬, রাহুল ৬৯, পূরান ২৫*, রাজপুত ১/৩৯, কারেন ১/৪৪)। রাজস্থান- ১৯.৩ ওভারে ২২৪/৬ (স্যামসন ৮৫, তেওয়াতিয়া ৫৩, স্মিথ ৫০, শামি ৩/৫৩, অশ্বিন ১/১৬)।