রাজনীতির গুণগত মানের ‘অবক্ষয়’ হয়েছে : মেয়র

29

দলের একাংশের সমালোচনার মধ্যে থাকা চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, দলে নেতা-কর্মীর সংখ্যা বাড়লেও রাজনীতির গুণগত মানের ‘অবক্ষয়’ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রয়াত নেতা এম এ ওহাবের স্মরণ সভায় তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর সহচর, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং সাবেক জাতীয় পরিষদ সদস্য এম এ ওহাবের মৃত্যুবার্ষিকীতে এই স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। খবর বিডিনিউজের
সভায় নাছির বলেন, যে কঠিন সময়ে ওহাব ভাইরা এই চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। আজকে আমরা যারা রাজনীতি করছি, এটা অনেকটা খালি মাঠে গোল দেওয়ার মতো। একদম পুরোপুরিভাবে অনুক‚ল পরিবেশে রাজনীতি করছেন। কাজেই কঠিন সময়টা কী, যারা অনুক‚ল পরিবেশে রাজনীতি করছেন তাদের কারও বোঝা সম্ভব নয়। উনারা কঠিন সময়ে রাজনীতি করেছেন, অত্যন্ত ত্যাগী মনোভাব নিয়ে রাজনীতি করেছেন। এটাই রাজনীতির প্রকৃত শিক্ষা। সংখ্যায় অনেক অনেক গুণ এখন আমাদের বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু গুণগত মানের দিক দিয়ে রাজনীতির অবক্ষয় হয়েছে। এটি নির্দ্বিধায় স্বীকার করতেই হবে।
গত রোববার চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভামঞ্চ থেকে প্রয়াত নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনকে নামিয়ে দেওয়ার পর দলের একাংশের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে রয়েছেন নাছির।
সভায় তিনি বলেন, অবক্ষয়ের কারণেই আমরা লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী থাকা সত্ত্বেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্জন ও সরকারের সফলতা মানুষের কাছে ওভাবে তুলে ধরতে পারছি না। না পারার কারণ হলো, আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত সভা করি, দলের কথা ততক্ষণই মনে থাকে। তারপর আমি একজন ব্যক্তিতে পরিণত হয়ে যাই এবং ব্যক্তি হিসেবে আমাদের সার্বক্ষণিকভাবে চিন্তা থাকে কিভাবে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করব।

এম এ ওহাবের স্মৃতিচারণ করে নাছির বলেন, রাজনীতিকে উনি ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। যার কারণে মৃত্যুর পরে উনি স্মরণীয়। উনার ধনসম্পদ বেশি ছিল না। সামাজিক যে রীতি বর্তমানে চলছে এটি স্বাভাবিক নয়। আর্থিকভাবে যারা দুর্বল তাদের সাধারণ মানুষ খুব একটা মনে রাখে না। শুনতে খারাপ লাগলেও এটা বাস্তবতা।
আমরা যদি উদ্যোগ নিই সবাই মিলে, অক্সিজেন থেকে হাটহাজারী সদর পর্যন্ত সড়ক সওজ চার লেইনে উন্নীত করছে। এটা যদি এম এ ওহাব সড়ক নামকরণ করতে পারি, তাহলে কিছুটা হলেও ঋণ শোধ করতে পারব।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম এবং দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।