রাজনীতিতে ‘চীনা হস্তক্ষেপে’র অভিযোগ তদন্তে অস্ট্রেলিয়া

28

অস্ট্রেলিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচনে একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করানোর মাধ্যমে দেশটির রাজনীতিতে চীনা হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্ত শুরু হয়েছে। রবিবার দেশটির জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠানে এমন ষড়যন্ত্রের কথা প্রকাশের পর তদন্ত শুরু করে অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন (এআইএসও)। সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ওই অভিযোগগুলোকে ‘মারাত্মক বিরক্তিকর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এআইএসও জানিয়েছে, রবিবার দ্য নাইন নেটওয়ার্ক সংবাদমাধ্যমের ‘৬০ মিনিট’ অনুষ্ঠানে রাজনীতিতে চীনা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রকাশ পায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন একটি চীনা গোয়েন্দা চক্র মেলবোর্নের বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবসায়ী বো নিক ঝাওকে সাত অংকের একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য।
গোয়েন্দা সংস্থাটির মহাপরিচালক মাইক বার্গেস বলেছেন, ‘৬০ মিনিট’ অনুষ্ঠানের অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এএসআইও। অস্ট্রেলিয়ানদের আবারও নিশ্চিত করতে পারি যে, রবিবার প্রকাশিত অভিযোগগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে এএসআইও। আর সক্রিয়ভাবেই সেগুলোর তদন্ত চলছে।’ গুপ্তচর নিয়োগ চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে দেশটিতে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করছে সরকার’। এসময় সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, ‘আমি ওই অভিযোগগুলোকে মারাত্মক বিরক্তিকর ও সমস্যাজনক হিসেবে দেখছি।’
নাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ওই অভিযোগ বিষয়ে তথ্য দিয়েছিলেন ঝাও। পরে মার্চে মেলবোর্নের এক হোটেল রুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন সে সম্পর্কে এখনও চূড়ান্ত সীদ্ধান্তে আসতে পারেননি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তার মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে গোয়েন্দা বিভাগ।
এএসআইও’র মহাপরিচালক বলেন, বৈরী বিদেশি গোয়েন্দা কার্যক্রম আমাদের জাতি ও নিরাপত্তার জন্য সত্যিকারের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ ও গুপ্তচরবৃত্তি প্রতিহত এবং মোকাবিলা করবে গোয়েন্দা বিভাগ।’