রাঙ্গুনিয়া কাপ্তাই সড়কের নিত্যসঙ্গী দুর্ঘটনা

96

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কে চলাচলকারী অধিকাংশ গাড়িতে রোড পারমিট না থাকায় লাইসেন্স বিহীন চালকদের হাতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রায় সময় ভয়াবহ দূর্ঘটনায় নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটলেও এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে না। গত ১০ মাসে প্রায় ১৬জন নিহত আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধীকেরও বেশি। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হযে পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। নিহতের নিঃস্ব করে পথে বসতে হয়েছে। এ সড়কে বিশেষ করে সিএনজি চালকরা বেপোরোয়া গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনায় যাত্রীদের মৃত্যুর পথে টেলে দেয়। শত শত সিএনজি কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে মাসিক টোকেন নিয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে গাড়ি চালাচ্ছে কোন বাধা বিপত্তি ছাড়া। এ সব অধক্ষ সিএনজি চালকরা এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনে গেলে ঐ স্টেশনের সিএনজি চালক সমিতির নেতারা লাইনম্যান দিয়ে নিদিষ্ট অংকের চাদা আদায় করে। একেকটি সিএনজি চালক সমিতির নেতারা চাদার ভাগ ভাগ করে মাসের শেষের দিকে। একেকটি সিএনজি চালক সমিতির নেতারা লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছে। এসব সমিতির নেতা পাতি নেতাদের কারণে সড়কে অদক্ষ ছোট ছোট কিশোর গাড়ি চালানোতে সড়কে সড়ক দুর্ঘটনার সারি দীর্ঘ করছে। এসব বিষয়ে থানা প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়না। এ সড়কে বাস মিনিবাস ট্রাক চলে বেপোরায়া ভাবে। তবে বাস থেমন একটা দুর্ঘটনা ঘটায়না। আবার অধিকাংশ বাস লক্কও ঝক্কর মার্কা। যাতে করে যাত্রীরা আসা যাওয়ার উপযোগি নয়। চট্টগ্রাম রাস্তার মাথা থেকে রাঙ্গুনিয়ায় আসা স্কুল শিক্ষিকা পারভিন আহম্মেদ জানান, সিএনজির অধিকাংশ চালকরা একেবারেই কিশোর। অনেক সময় ১৩/১৪ বছরের কিশোর গাড়ি চালাতে দেখা যায়। আমরা প্রায় সময় বাধ্য হয়ে এসব সিএনেিজতে আসা যাওয়া করতে হয়। এসব চালকরা একেবারেই অদক্ষ। তারা সড়কে গাড়ি প্রতিযোগিতা দিয়ে বেপোরোয়া ভাবে গাড়ি চালিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অকালে মানুষের প্রান কেড়ে নেনে। এসব দানবরা সড়ককে নিত্যসঙ্গী দুর্ঘটনা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। রোয়াজার হাট স্টেশনের সিএনজি চালক আবদুল মোতালেব (৪৫) জানান, আমরা সংসার চালানোর জন্য গাড়ি চালায়। সড়কে চলে বেপোরোয়া চাদাবাজি। আমাদের পূজি করে সিএনজি সমিতি গুলো ব্যাপক ভাবে চাদাবাজি করে। সড়কে অনেকের ড্রাইভিং লাআসেন্স নেই। ছোট ছোট ছেলেরা এখন গাড়ি চালায়। তারা গাড়ি চালাতে পরিপক্ষ না হওয়াতে সড়কে ঘন ঘন দূর্ঘটনা সৃষ্টি করছে। সড়কের বাস ও সিএনজি অটোরিক্সা গুলো বেপরোয়া ভাবে রাস্তা দখল করে সিএনজিগুলো চলাচল করলেও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) বা ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃপক্ষ কার্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সড়কের নানা স্থানে ট্রাফিকরা গাড়ি প্রতি নিদিষ্ট অংকের চাদা আদায় করে। এ সড়কের রাঙ্গুনিয়া অংশে ট্রাফিকের বেপোরোয়া টোকেন বাণিজ্যে সিএনজি বাস ট্রাক মাইক্রো হাইস থেকে নিয়মিত চাদা আদায় করে আসছে। এছাড়াও রাঙ্গুনিয়ায় সড়কে চলাচলরত বাস ও সিএনজি চালকদের অধিকাংশ ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, অদক্ষ চালকরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোয় প্রতিতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। এদিকে এ উপজেলায় অসংখ্য সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক সংগঠন থাকলেও নিয়ম না মেনে রাস্তায় গাড়ী চালানো কিংবা লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভার দ্বারা গাড়ী চালানোর বিরুদ্ধে কোন ধরনের কার্য্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। রেজিস্ট্রেশন বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা যানবাহন আইন অনুযায়ী পরিবহনের কাজে ব্যবহারের নিয়ম না থাকলেও কিছু সংগঠনের দেয়া টোকেনের মাধ্যমে গাড়ী গুলো রাস্তায় চলাচল করছে। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের প্রধান সড়কের চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান, চৌমহনী, রোয়াজার হাট, ইছাখালী, গোডাউন, পোমরা ও রানীর হাট, ধামাইর হাট পারুয়া অভ্যন্তরীণ এলাকায় অসংখ্য সিএনজি স্টেশন রয়েছে। এসব সিএনজি স্টেশনগুলোতে অভ্যন্তরীণ এলাকায় যাতায়াতে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। এক স্টেশনের গাড়ী অপর স্টেশন থেকে যাত্রী নিতে পারে না। এলাকার লোকজন জানান, চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান থেকে রাস্তার মাথার দূরত্ব আনুমানিক ২৫ কিলোমিটার। কিন্তু সিএনজি চালকরা ৪০ থেকে ৪৫ টাকার স্থলে অটোরিক্সায় প্রতি যাত্রী থেকে ৬৫- ৭০ টাকা করে ভাড়া আদায় করে। চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান থেকে চৌধুরী গোট্টা মাত্র আধা কিলোমটিার সিএনজি চালকরা দিনে ৫ টাকা নিলে রাতে ভাড়া নেয় ডাবল ১০ টাকা। এভাবেই চলছে এ সড়কে চলাচলরত সিএনজি অটোরিক্সার ভাড়া নৈরাজ্য। সাধারণ মানুষ এসব ভাড়া নৈরাজ্যের প্রতিবাদ করলে সিএনজি চালকদের হাতে নাজেহাল হতে হয়। প্রায় সময় দেখা চট্টগ্রাম শহর রাস্তার মাথা থেকে সড়কে চলাচলকারী বাস গুলো আসার সাথে সাথে চালক নেমে হেলপারকে গাড়ি চালাতে দেন। তা নিয়ে প্রায় সময় দুঘটনা হলে ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা প্রশাসনকে নানাভাবে ম্যানেজ করে পার পেয়ে যায়। ফলে তারা সড়কে দুর্ঘটনাকে তোয়াক্কা করে না। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, প্রধান সড়কে চলাচলকারী বাস ও সিএনজি গাড়ীর রেজি: ও লাইসেন্স ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অনেকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এব্যাপারে সাধারন জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।