রাঙ্গুনিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় আছি

44

প্রচারণায় বাধা ও নেতাকর্মীদের মামলা ছাড়া গ্রেপ্তারের অভিযোগ করে রাঙ্গুনিয়া আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নুরুল আলম বলেছেন, আমার এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় আছি। আমার জন্য গণসংযোগের ন্যূনতম স্পেস নেই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা তো সামান্য বিষয়, আমাকে গণসংযোগ পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে ইয়াবা, অস্ত্র দিয়ে চালান দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
নুরুল আলম বলেন, যে সময়ে আমি নির্বাচনের মাঠে গণসংযোগে ব্যস্ত থাকার কথা, সে সময়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। আমার দল ও জোটের নেতা-কর্মীরা এলাকায় গণসংযোগ করতে গেলে আমাদের উপর হামলা, মামলা এমনকি হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। সরকার দলীয় প্রার্থী ও তার নেতাকর্মীরা সমস্ত নির্বাচনী এলাকায় এক ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করছে। ইতিমধ্যে আমার পক্ষের অনেক নেতাকর্মীকে মামলা ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নুরুল আলম বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত আচরণ বিধি মেনে সরকারি দলের হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে আমি প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। গত ১৯ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নিশ্চিন্তাপুর এলাকায় গণসংযোগ করতে গেলে আমার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের এলাকায় কোনো প্রকার প্রচার এবং গণসংযোগ করতে নিষেধ করা হয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করতে চাইলে সরকার দলীয় বাহিনী লাঠি, ছুরি, হকিস্টিক নিয়ে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে অনেক নেতা-কর্মী আহত হন।
তিনি বলেন, ৪২ বছর ধরে রাজনীতি করছি। পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন করছি। এবারই প্রচারণায় বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর আমার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, আমার কর্মী হারুনর রশীদ তালুকদার, মোহাম্মদ হারুন, ইমাম হোসেন চৌধুরী, আবদুল লতিফ (সাবেক মেম্বার) ও আনোয়ার হোসেনকে পুলিশ অযথা গ্রেপ্তার করে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এছাড়া গত ১০ ডিসেম্বর আমার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ফজলুল কাদেরকে গভীর রাতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়। তার অপরাধ, ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পক্ষের নির্বাচন সমন্বয়কারী। এছাড়াও, গত ১৯ ডিসেম্বর বিকালে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর, দক্ষিণ রাজানগর, সোনারগাঁও, ইসলামপুরের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আহাম্মদ হাসনাত, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য উদয় কুসুম বড়ুয়া, রাঙ্গুনিয়া বিএনপি নেতা শওকত আলী নূর, রাঙ্গুনিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ মহসিন, বিএনপি নেতা নিজামুল হক তপন, মো. আজিজ, শাসুল আলম কোম্পানি প্রমুখ।