রাঙ্গুনিয়ায় শেষ পর্যায়ে নদী ভাঙন রোধে ব্লক বসানোর কাজ

159

রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলী নদীর ভাঙনে শত পরিবার গত দুই যুগ ধরে বাপ দাদার পৈত্তিক ভিটা মাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হয়েছে। নদীর তীরবর্তী এলাকার ভাঙনের মুখে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হয়েছে। সহায় সম্বল সব কিছু হারিয়ে এখনও অনেক মানুষ কর্ণফুল নদীকে রাক্ষুসী নদী বলে নদীকে অভিশাপ দেয়। গত বছরেও ভাঙনের কবলে পড়ে অনেক পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের প্রচেষ্টায় কোদালা ভাঙন প্রতিরোধে বøক বসানোর কাজ গত ৬ মাস আগে শুরু হয়।
ব্লক স্থাপনে কমপক্ষে ২ হাজার ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। নিঃস্ব হযে যাওয়া থেকে মাথা গুজার টায় পাবে শত পরিবার। ব্লক বসানোতে কোদালা ইউনিয়নের সার্বিক কাজে জীবন মান বৃদ্ধি পাবে। জানা যায়, কোদালা ইউনিয়নের ৩ ও ৪ এবং ২নং ওয়ার্ডের অর্ধেক অংশে প্রায় ১৩শ মিটার ব্লক বসানোর কাজ শুরু হয়। এতে কোদালা ইউনিয়নের নোয়া খালের পশ্চিম অংশে ব্লক বসানোর কাজ প্রায় শেষের পথে। ১৩শ মিটারের মধ্যে ১২শ মিটার ব্লক বসানো হয়েছে। ভাঙন কবলিত ৩নং ওয়ার্ডেও বাসিন্দা স্বামী হারা হোছনে আরা বেগম বলেন, আমার স্বামীর ভিটে নদীর ভাঙনে আর কয়েক হাত নদী থেকে অবস্থান করছে। মনে হয়েছে স্বামীর ভিটে হারিয়ে ভাসমান জায়গায় বাস করতে হবে। রাক্ষুসী কর্ণফুল নদীর ভাঙনের গর্জনের শব্দ আমাদের প্রতিনিয়ত আঘাত করতো। মনে হয় এ বর্ষায় নদী ভাঙনে স্বামির ভিটে নদীতে চলে যাবে। ব্লক বসানোতে তা রক্ষা হয়েছে। আমার মত শত পরিবার ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে। কোদালা ইউনিয়নের বাসিন্দা আলহাজ আবদুল আজিজ বলেন, কর্ণফুলী নদীর ভাঙ্গন নিয়ে বছরের পর বছর কোদালাবাসীর সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। ভাঙনের ভয়াবহতা দিন দিন বাড়লেও ভাঙন প্রতিরোধে কেউ এগিয়ে আসেনি। তথ্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কোদালা ইউনিয়নকে ভাঙন প্রতিরোধে ব্লক বসানোর ব্যবস্থা নেয়। কোদালা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাউছার নুর লিটন জানান, কর্ণফুলী নদী ভাঙনে এভাবে ব্লক বসবে কেউ আশা করেনি। রাঙ্গুনিয়া সন্তান যখন সংসদে তখন এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড চালু হয়েছে। শুধু নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্লক বসা ছাড়া কোদালা ইউনিয়নে সড়ক, ব্রিজ, সহ নানা স্থাপনা শেষ হয়েছে। এক সময়ের অবহেলিত কোদালা ইউনিয়ন এখন সব কিছুতে এগিয়ে। কোদালা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কায়ুম তালুকদার জানান, কোদালা ইউনিয়ন কর্ণফুলী নদীর ভয়াবহ ভাঙনে শত পরিবার কোদালা ছেড়ে অনত্র চলে যেতে হয়েছে।
এ বর্ষায় কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী এলাকার শত পরিবার ভাঙনের কবলে পড়তে হতো। তথ্যমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় কোদালা ইউনিয়নকে ভাঙন প্রতিরোধে ব্লক বসানোতে কাদালা ইউনিয়ন ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ খলিলুর রহমান চৌধুরী জানান, কোদালা ইউনিয়নের গত এক যুগে অনেক কাজ হয়েছে। মানুষ এভাবে উন্নয়নের কাজ হবে তা আশা করেনি। নিজেদের সন্তান সংসদে যাওয়ায় এধরনের বড় উন্নয়ন মুলক কাজ হচ্ছে। কোদালায় নয় ভাঙন প্রতিরোধে শিলক, সরফভাটা চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন এলাকায় ব্লক বসানোর কাজ চলছে। আশা করি আগামী ২/১ মাসের মধ্যে ব্লক স্থাপনের কাজ শেষ হবে।