রাঙ্গুনিয়ায় ধান চাল সংগ্রহে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে

138

গুদামে গুদামে কৃষকের ধান, বাচবে কৃষক বাচবে প্রান সে শ্লোগান নিয়ে রাঙ্গুনিয়া খাদ্য গুদামের ধান চাল সংগ্রহের কাজ এগিয়ে চলেছে। এবারে রাঙ্গুনিয়া খাদ্য গুদাম ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা হচ্ছে ১৫শ ৪৫ মেট্রিক টন। চাল সংগ্রের লক্ষ মাত্রা হচ্ছে ১১শ ৬৭ টন। এবারে কৃষকরা খাদ্য গুদামে ধান চাল বিক্রি করতে পারছে সহজে। ধান চালের দাম পাচ্ছে আশানুরুপ। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান চাল সরকারী মুল্যে বিক্রি করতে পারছে। এতে অর্থনেতিক ভাবে লাভবান হচ্ছে শত শত কৃষক পরিবার। রাঙ্গুনিয়া খাদ্য পরিদর্শক মো.আবদুর রহমান খান জানান, উপজেলা ধান চাল সংগ্রহ কমিটির সিদান্ত অনুযায়ী উপজেলার ৮৫২ জন কৃষক থেকে ১৫শ ৪৫ মেট্রিক টন ধান ১১শ ৬৭ টন চাল সংগ্রহ করবে। প্রতি কেজি ধান ২৬টাকা, প্রতি কেজি চাল ৩৫ টাকা দামে কৃষকদের থেকে কেনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তালিকা ভুক্ত চালক মালিকদের থেকে ৮৫২ জন কৃষক থেকে ৭শ ৪১ টন ধান, ৩৫টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। যদিওবা সরকারি ভাবে আরো দেড় মাস সময় রয়েছে। আমরা প্রতিদিন খাদ্য গুদামে কৃষকদেরথকে ধান চাল সংগ্রহ কাজে ব্যাস্ত সময পার করছি। রাঙ্গুনিয়া খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে আসা স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া থেকে আসা এজাহার মিয়া (৬৭) পৌরসভা ঘাটচেক থেকে আবদুল করিম, (৩৪) পদুয়া নাপিত পুকুরিয়া থেকে আবদুল গফুর, (৪৩) তারা জানায় আমরা সরকারী ভাবে ধান চাল বিক্রি করতে পেরে অর্থনেতিক ভাবে লাভবান হচ্ছি। অনেক ক্ষেত্রে আমরা বেসরকারিভাবে বিক্রি করলে যে দাম পেতাম তার চেয়ে আমরা সরকারীভাবে বিক্রি করাতে দ্বিগুন মুল্য পাচ্ছি। এতে আমরা উৎপাদিত ফসলের ন্যার্য্য মুল্য পেয়ে আবারো চলতি বোরো চাষাবাদ করতে পারব। কৃষক বাচলে দেশে বাচবে সরকার সে কথা চিন্তা করে আমাদের ধানের ও চালের দাম পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় আমরা খুশি। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা চাই থোয়াই প্রæ জানান, আগামী ফেব্রæয়ারি মাস পর্যন্ত আমরা সরকারি ভাবে ধান চাল সংগ্রহ করব। এখানে সরাসরি খাদ্যগুদামে কৃষকের থেকে ধান চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। রাঙ্গুনিয়া ধান চাল সংগ্রহ কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, কৃষরা তাদেও উৎপাদিত ফসল ধান চাল সরকারী মুলে বিক্রি করতে পেওে লাভবান হচ্ছে। আমরা চাই কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যার্য্য মুল্য পেলে কৃষি কাজে তারা উৎসাহ পাবে।