রাঙ্গুনিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

35

রাঙ্গুনিয়ায় জায়গা সংক্রান্ত বিরোধে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড দক্ষিন বগাবিলী দরগাহ টিলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হামলায় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হলেও গত ২৫ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। নিহতের নাম আবুল হোসেন (৫২)। সে ওই এলাকার আমিনুল হকের পুত্র। এই ঘটনায় আহত হয়েছে নিহতের বড় ভাই নবীর হোসেন (৫৫) এবং ছেলে ইকবাল হোসেন (২৮)। তারা যথাক্রমে চট্টগ্রামের ডেন্টার ক্লিনিক এবং চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। নিহতের বড় মেয়ে ফারজানা হোসেন জানায়, তাদের সাথে প্রতিবেশী ফজলুল করিমের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন মামলা চলছে। সম্প্রতি এ জায়গায় জোরপূর্বক পাকা দালান নির্মাণ করছে ফজলুল করিমের পরিবার। পরে আদালত থেকে কাজের নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। গত বুধবার নির্মাণাধীন পাকা দালানের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলাকালে বাঁধা প্রদান করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ফজলুল করিম ও তার পুত্র মিজানুল করিম লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হয় আবুল হোসেন, তার বড় ভাই নবীর হোসেন ও সন্তান ইকবাল হোসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে মৃত্যু হয় আবুল হোসেনের। তার মাথা ও তলপেটে গুরুতর আহত হওয়ার কারণে বুধবার দুপুর থেকেই তিনি জরুরী বিভাগে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন বলে জানা যায়। তার পরিবারে ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান রয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধে মামলার একপর্যায়ে উপজেলা ভূমি অফিসে তার সমাধান হয়। এরপর ফজলুল করিম তার পাকা দালান তৈরি করে গত তিন মাস আগে ঘরের অর্ধেক ছাদ ঢালাই দেন। বাকী অর্ধেক ঢালাই দিতে গেলে প্রতিপক্ষ তাদের বাঁধা দিলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাদেরও মো. ফজলুল করিম (৫৫) ও তার পুত্র মো. মিজানুল করিম (২০) আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, হামলার ঘটনায় নিহতের বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।