রাঙ্গুনিয়ায় গ্রামামাঞ্চলে অনেকেই মানছে না সামাজিক দূরত্ব

109

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এড়াতে প্রশাসনিকভাবে সামাজিক দূরত্ব মানার কথা বলা হলেও তা মানছে না গ্রামাঞ্চলের মানুষ। সম্প্রতি এ দৃশ্য দেখা যায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা, মরিয়াম নগর, রানী হাট, রোয়াজার হাট, শান্তির হাট, লিচুবাগান বাস স্টেশনে এলাকায়। ঘর থেকে বাহির হয়ে খোলা চায়ের দোকানে মেরাথন আড্ডা, আবার সড়কের পাশে নির্জন জায়গায় যুব সমাজ ফেইসবুক নিয়ে লুড়– খেলা, বয়োজৈষ্ঠরা মানছেনা সামাজিক দুরত্ব। অনেকে বিকেলে লোক সমাগম করে ফুটবল খেলায় মেতে উঠতে দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জটলা বেধে আড্ডায় মেতে উঠেছে অনেক মানুষ। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলেই নিরাপদ দূরত্বে চলে যাচ্ছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটি পেয়ে বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে ফিরে এসেছেন। এ কারণেই গ্রামাঞ্চলে দোকানপাট ও বাজারে আড্ডা বেড়ে গেছে। চন্দ্রঘোনা কদমতলী এলাকায় দলে বেধে চলছে জুয়া খেলা, চন্দ্রঘোনা শ্যামার পাড়ায় যুবকরা মেতে উঠে ফুটবর খেলায়। এখানে নানা বয়সের মানুষের সমাগম হচ্ছে। এটি প্রতি দিনের চিত্র বলে জানিয়েছেন এলাকার ইউপি সদস্য রাশেদ আলী মেম্বার। আবার পাঠান পাড়া তিন পথের মাথায় ৮-১০টি দোকানে প্রচুর লোক সমাগম ও আড্ডা দিতে দেখা যায় দিনে গভীর রাত পর্যন্ত। প্রশাসনের নজর নাথাকায় এর প্রভাব বিস্তার দিন দিন বেড়েই চলছে। সপ্তাহ জুড়ে রাঙ্গুনিয়াা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম, রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি সাইফুর আলম ছাড়াও সেনাবাহিনীর টহল টিমকে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহ জুড়ে রাঙ্গুনিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে জরিমানাও করেন। এদিকে উপজেলায় বেশ কিছু গ্রামীণ বাজার রয়েছে। এর মধ্যে ওষুধ ও মুদি দোকানের সামনে গোল বৃত্ত দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশ, এ বৃত্তের ভেতরে থেকে শৃঙ্খলা মেনে মালামাল ক্রয় করতে হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দোকানের সামনে গোল বৃত্ত দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু ক্রেতা তা মানছেন না। এ বিষয়ে দোকানদারদের সর্তক করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কোন ছাড় দেবনা।