রাঙ্গুনিয়ায় এক রাতে ৫টি গরু চুরি

13

রাঙ্গুনিয়ায় খামারির এক রাতে ৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ৪ ডিসেম্বর উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের চারাবটতল এলাকায় এ চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক মো. সলিমুল্লাহ (৩৮)। এদিকে রাঙ্গুনিয়ায় সম্প্রতি গরু চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় খামারিদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। খামারিরা এ চুরির ঘটনায় গোয়াল ঘর পাহারায় থাকবেন বলে জানালেন। ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মো. সলিমুল্লাহ জানান, তিনি পেশাগত ভাবে কৃষিকাজ করেন। কৃষি কাজের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জাতের গবাদি পশু পালন করে থাকেন। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে প্রতিদিনের মতো গোয়াল ঘরে বাচুরসহ দুইটি গাভী গরু এবং ষাঁড় বেঁধে ঘুমাতে যান। পরের দিন শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে উঠে দেখেন গোলাঘরের তালা ভাঙ্গা এবং দরজা খোলা। ভেতরে রাখা উন্নত জাতের ২টি বাচুরসহ গাভি দুটি এবং ষাঁড়টি নেই। রাত দেড়টা থেকে ৬টার মধ্যে কোন একটা সময় সংঘবদ্ধ চোরের দল তার গরুগুলো চুরি করে নিয়ে যায় বলে তিনি ধারণা করেন। গরুগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা বলে জানান তিনি। এদিকে রাঙ্গুনিয়ায় গরু চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত খামারিরা। এই ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া খামার এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হারুন বলেন, “এভাবে ক্রমাগত গরু চুরির ঘটনা ঘটলে খামারিদের খামার বন্ধ করে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে দুয়েকজন চুর ধরা পড়লেও বন্ধ হচ্ছে না গরু চুরির ঘটনা। বিষয়টি দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।” আমরা এখন গরু পাহারা দিতে গোলাল ঘরে রাত কাটাতে হবে। এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব মিল্কী বলেন, চুরি হওয়া গরু উদ্ধার ও চোর দলের সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। এছাড়া গরু চুরি রোধে এলাকায় পুলিশের পাহাড়া বাড়িয়ে দেয়া হবে।