রাঙ্গুনিয়ায় ইছামতির নদীর চরে মিষ্টি আলুর চাষ

108

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে সুস্বাদু মিষ্টি আলুর চাষ। এখানকার মিষ্টি আলুর চাহিদা রযেছে চট্টগ্রামের নানা স্থানে। কৃষকরা স্বল্প পূজিতে এ চাষ করে আসছে বছরের পর বছর। অন্যান্য সবজি চাষের সাথে মিষ্টি আলু চাষাবাদ করে বাড়তি আয় করছে কৃষকরা। নদীর চর খালি এখন দেখা যায়না। নদীর সব চরেই চলছে মিষ্টির আলুর চাষ। উপজেলার ইসলামপুর ও রাজানগর পারুয়া ও পৌরসভা এলাকার চলছে মিষ্টি আলুর চাষাবাদ। বিশেষ করে চর এলাকায় মিষ্টি আলুর চাষাবাদ হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াছ। জানান, রাজানগর ইউনিয়নের ইছামতির চর জুড়ে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর আবাদ করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন আবাদি জমি বাড়েছে, অন্যদিকে বাড়বে উৎপাদন। ইসলামপুর ইউনিয়নের সেগুনবাগিচা এলাকার চাষী নজরল ইসলাম তালুকদার বলেন,আগে এই ইছামতির চর সমূহ খালি পড়ে থাকত। উপ সহকারী কৃষি অফিসার সহিদুজ্জামান এর পরামর্শ মতে আমরা এখন চরে মিষ্টি আলুর চাষাবাদ করে বাড়তি আয় করছি। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের কর্ণফুলী নদীর দাঙ্গা চরের বিস্তীর্ণ ্এলাকায় মিষ্টি আলু চাষ করছে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, স্বল্প পূজিতে আলু চাষ করা যায়। ভাল ফরনও হয়। এবং সহজে আমরা লাভের মুখ দেখতে পারি। চট্টগ্রামের পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী আবদুল মোতালেব বলেন, আমি রাঙ্গুনিয়া থেকে সব ধরনের সবজি পাইকারী ভাবে কিনে নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ দিয়ে আসছি। সবজির পাশাপাশি এখান থেকে মিষ্টি আলু নিয়ে যায়। এর চাহিদা আছে। এখানে চর এলাকায় মিষ্টি আলুর চাষ হয়ে থাকে। এসব আলু খুবই সুস্বাধু। ইসলামপুর ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সহিদুজ্জামান সাহেদ বলেন, এলাকার কোথাও যাতে কোন পতিত জমি না থাকে সেই লক্ষ্যে সকল পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তারের নির্দেশনা মত কাজ করে যাচ্ছি। আগে এসব নদীর চর পতিত থাকলেও এসব চরে মিষ্টি আলু সহ মুলা, ফ্রেঞ্চবীন, মিষ্টি কুমড়া এসব চাষাবাদ হচ্ছে। মিষ্টি আলু চাষাবাদে তেমন একটা সার প্রয়োগ করতে হয়না বলে খরচ কম। তাছাড়া এ ফসলে তেমন কোন রোগ বালাইও দেখা যায়না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার বলেন, এ বছর অত্র উপজেলায় প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষাবাদ হয়েছে যার প্রায় সিংহ ভাগই ইসলামপুর ও রাজানগরে আবাদ হয়েছে।মিষ্টি আলু অত্যন্ত পুষ্টিকর ফসল। সাধারণত বালু মাটিতে আলু/কন্দাল জাতীয় ফসল ভাল হয়। ভবিষ্যতে এর আবাদ আরও বাড়ানোর জন্য উপজেলা কৃষি অফিস, রাঙ্গুনিয়া কাজ করে যাচ্ছে।