রাঙ্গামাটিতে সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু

35

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেছেন, একজন সঠিক পুষ্ঠি জ্ঞান সম্মন্ন মানুষই পারে দেশ তথা সমাজের কল্যাণকর পথনির্দেশনা প্রদান করতে। তিনি বলেন, এশিয়া উপ মহাদেশের সর্ববৃহৎ লেক-কাপ্তাই লেক। যার পরিমান ৭২৫ বর্গকিলোমিটার। কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ প্রকল্প শুরুর প্রথমেই যে পাঁচটি মূল সুবিধা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ ছিল তন্মধ্যে মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন ছিল অন্যতম। গত ১১ জুন সকালে রাঙ্গামাটি মৎস্য অফিসের ব্যবস্থ্যাপনায় মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ৫দিনব্যাপী সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্ধোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। রাঙ্গামাটি মৎস্য অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত কোর্সে সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন।
এ সময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক পবর কুমার চাকমাসহ মৎস্য অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তাগন বক্তব্য রাখেন । জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজকের এ প্রশিক্ষণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি মনে করি। কেননা আমাদের প্রশিক্ষণ লব্দ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা গ্রহন, বাস্তবায়ন ও স্থানীয় জনমানুষের আমিষ ও পুষ্ঠি চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি আরো বলেন, আমরা এবং আপনারা সকলেই বাংলাদেশ সরকারের সেবক। সে অর্থে এদেশের সাধারণ মানুষকে মৎস্য সম্পদের যথাযথ বংশ বৃদ্দি তথা মৎস্য চাষের সার্বিক ও বিজ্ঞানসম্মত উপায় সম্পর্কে অবহিত করা আমাদের মূল দায়িত্ব। তিনি বলেন, পাহাড়ী পরিবেশ যথাযথ অক্ষুন্ন রেখে পেশায় টিকে থাকার মতো ধৈর্য্যশীল অথচ বাস্তবতা সম্মন্ন কর্মপন্থা নির্ধারনই পারে একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। তেমনিভাবে জনপ্রতিনিধিবৃন্দ তাঁদের দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হবেন। ৫দিনব্যাপী সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ কোর্সে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মোট ২৮ জন কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।