রাঙামাটি ফরেস্ট অফিসে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

11

রাঙামাটি ফরেস্ট অফিসে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৪টি বিভাগের জরুরি কাগজপত্রাদি ও আসবাবপত্র। গতকাল রবিবার সকাল ১০ টার দিকে শহরের প্রা কেন্দ্র বনরূপা ফরেস্ট অফিসে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপি স্থায়িত্ব পাওয়া নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস, সেনা বাহিনী, পুলিশ, রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় জনসাধরণ।
স্থানীয় অধিবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০ টার দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কম্পিউটার কক্ষ হতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। প্রত্যক্ষদর্শী ও বনবিভাগের অনেকে বলেছেন- অগ্নিকান্ডের সময় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। আবার অনেকের ধারণা সিগারেটের আগুন থেকেই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. সানা উল্লাহ পাটোয়ারি বলেন, শুনেছি জেনারেটরের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত। এ ব্যাপারে ইউএসএফ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও পৃথক পৃথক আরো ২-৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা কি ছিল।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবদুল ছালেক প্রধান বলেন, সকাল থেকে বনরূপা এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর চালু করে অফিসের জরুরি কাজ সম্পাদন করা হচ্ছিল। দীর্ঘক্ষণ চলার কারণে হয়তো জেনারেটরের শর্ট সার্কিট হতে আগুন ধরে মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বন বিভাগের ৪টি বিভাগের সবকিছুই পুড়ে যায়। বিভাগগুলো হচ্ছে উত্তর বন বিভাগ, দক্ষিণ বন বিভাগ, ইউএসএফ বন বিভাগ ও জুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের আসবাবপত্র ও অফিসের সকল কাগজপত্রাদি। এতো দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে যে কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। কোনো মতে অফিসের লোকজন প্রাণ নিয়ে বের হতে পেরেছেন। ৪টি অফিসের কোনো কাগজপত্র বা আসবাবপত্র বের করা সম্ভব হয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত জানা সম্ভব হয়নি। তবে বন বিভাগের লোকজন বলছেন জেনারেটর থেকে আগুনের সূত্রপাত। এব্যাপারে আমাকে আহবায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ও বন বিভাগের লোকজনের মতে আসবাবপত্র, বন বিভাগের ফাইলপত্র ও ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জামাদি পুড়ে গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এবং রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার।