রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নির্মিত হচ্ছে করোনা ইউনিট

2

রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে নির্মিত হচ্ছে বিশেষায়িত ৪০ বেডের পৃথক করোনা ইউনিট। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে পৃথকভাবে এ করোনা ইউনিট চালু করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে করোনা ইউনিট ভবনের কাজ শুরু করা হয়েছে। খুব শিগগরই ভবনের কাজ শেষ করা হবে। করোনা ইউনিট চালু হলে জটিল রোগিদের আর চট্টগ্রাম নিয়ে যেতে হবে না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সদর জেনারেল হাসপাতালে পৃথমভাবে করোনা ইউনিট স্থাপন করা হলে করোনা রোগিদের জন্য সুফল বয়ে আনবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর রোগি নিয়ে যেতে হবে না। ঘরে বসেই করোনা রোগির উন্নত চিকিৎসা হবে। বর্তমানে করোনা রোগি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত ডাক্তার রেফার করে দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে এতে করে আর্থিক অপচয় অন্যদিকে চরম হয়রানির স্বীকার হতে হয় রোগি ও রোগির অভিভাবকেরা। করোনা রোগি হিমেল চাকমা ও জিয়াউর রহমান জুলেয় বলেন, জেলা পরিষদ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাতে রাঙামাটিবাসী করোনা চিকিৎসায় মাইল ফলক স্থাপন করবে। জনগণ শহরের মধ্যে নির্বির পরিচ্চর্যায় চিকিৎসা পবে।এছাড়াও এখানে বড় একটি বিষয় হচ্ছে করোনা চিকিৎসার জন্য সুদূর চট্টগ্রাম আর যেতে হবেনা। এখানে করোনা ইউনিট স্থাপনের ফলে এতে করে সময় বাঁচল অন্যদিকে করোনা রোগির অর্থ বাঁচল। করোনা রোগি নিয়ে কি যে জ্বালা যন্ত্রনা এটা যার হয়েছে সে বুঝবে তার যাতনা। তবে করোনা রোগিদের জন্য এই ইউনিটে পর্যাপ্ত পরিমান সরঞ্জামাদি ডাক্তার, নার্স এবং ওষুধ থাকতে হবে। রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা বলেন, কোভিড-১৯ করোনা মহামারি বিশ্বব্যাপী একটি সংক্রমণ রোগ। এ দুর্যোগ মহামারি থেকে রক্ষা পেতে এবং সুরক্ষার জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে পৃথম করোনা ইউনিট চালু করা হচ্ছে এতে করে রাঙামাটিবাসী অবশ্যই সুফল পাবে। তবে সদর হাসপাতালে অক্সিজেন সাপ্লাই, হাইফ্লো অক্সিজেন ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন না থাকায় করোনার রোগিরা কষ্ট পাচ্ছে। যদি ৪০ বেডের করোনা ইউনিট স্থাপন করা হয় তাহলে এ অভাব আর থাকবে না। এই মহতি উদ্যোগের জন্য জেলা পরিষদ ও স্বাস্থ্য বিভাগকে স্বাগত জানাই। সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার শওকত আকবর বলেন, বর্তমানে করোনা রোগির চিকিৎসায় আমাদের তেমন জামেলা পোহাতে হচ্ছে না। যথেষ্ট জনবল ও ওষুধ রয়েছে। নতুন করে ৪০ বেডের করোনা ইউনিট চালু করা হলে করোনা চিকিৎসা সেবা আরো একধাপ উন্নত হবে। সিভিস সার্জন ডাক্তার বিপাশ খীসা বলেন, সদর জেনারেল হাসপাতালের পাশেই জেলা পরিষদ কর্তৃক বিশেষায়িত নতুন করে ৪০ বেডের করোনা ইউনিট চালু করা হবে। আপনারা ইতোমধ্যে শুনেছেন গত বছরের এপ্রিল মাসে এডিবি কর্তৃক সেন্ট্রাস অক্সিজেন কার্যক্রম প্রায়ই শেষ পর্যায়ে এসে পৌছে গেছে। এখন বিদেশ থেকে সরঞ্জামাদি আসলেই বসানো হবে। আর করোনা ইউনিটের ভবনের কাজ চালু হয়েগেছে। খুব শিগগরই ভবনের কাজ শেষ করা হবে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, জেলা পরিষদের অর্থায়ণে সদর জেনারেল হাসপাতালে পৃথকভাবে ৪০ বেডের একটি ইউনিট চালু করতে যে ভবনটি নির্মিত হচ্ছে তার কাজ প্রায়ই শেষের দিকে। করোনা ইউনিটটি চালু হলে রাঙামাটির করোনা রোগি আর চট্টগ্রাম যেতে হবে না।