রাঙামাটির ‘হোটেল সুফিয়া’কে অর্থদন্ড

62

পর্যটকের কাছে অগ্রিম বরাদ্দ নেওয়া কক্ষ দিতে না পারার অপরাধে রাঙামাটির বিলাসবহুল ‘হোটেল সুফিয়া ইন্টারন্যাশনাল’কে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি বরাদ্দ বাবদ অগ্রীম নেওয়া ৬ হাজার ১২০ টাকা আগামী ৭ দিনের মধ্যে গ্রাহককে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।
গতকাল বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাঙামাটি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ দন্ড দেন। আহামুদুল হাছান নামে ঢাকার এক ট্রাভেল এজেন্সির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে এ দন্ড দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিবরণের জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি আহমুদুল হাছান ২২ ফেব্রুয়ারি একদিনের জন্য হোটেল সুফিয়ায় ৭টি কক্ষ বরাদ্দ নেন। এ বাবদ ৬ হাজার ১২০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে অগ্রীম পরিশোধও করেন তিনি। কিন্তু তৎকালীন হোটেল ব্যবস্থাপক রেজিস্ট্রার বইয়ে ২২ ফেব্রæয়ারির পরিবর্তে ২২ জানুয়ারি রুম সংরক্ষণের তথ্য লিপিবদ্ধ করেন। উভয়ের মধ্যে এই বিষয়ক সকল যোগাযোগ হয়েছিল অনলাইনের মাধ্যমে। এ ভুলের কারণে পর্যটকদের রাঙামাটি ভ্রমণ বাতিল হয়ে যায় এবং তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ভুলের দোষ স্বীকার না করে হোটেল কর্তৃপক্ষ উল্টো গ্রাহকের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এ কথা-বার্তার প্রিন্ট কপি অভিযোগের সাথে সংযুক্ত ছিল।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। পরবর্তীতে কাউকে যেন আর এভাবে হয়রানী করা না হয় সে ব্যাপারে হোটেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছি। পর্যটনের শহরে পর্যটকরা এমন আচরণ প্রত্যাশা করে না। অভিযানের সময় বাজার ফান্ড কর্মকর্তা এমদাদুল্লাহ ভুইয়া, জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর নাসিমা আক্তার খানম উপস্থিত ছিলেন। তবে ঘটনা ও অর্থদন্ডের ব্যাপারে জানতে চাইলে তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন হোটেল পরিচালক সায়েম। তিনি বলেন কোনো কিছু হয়নি।
পরে মানিকছড়ি দোকানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিএসটিআই নিষিদ্ধ করা পণ্য রাখার দায়ে রাজামিঞা স্টোরকে ১ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, রাঙামাটি থেকে তেমন অভিযোগ তাদের কাছে আসে না। কেউ পণ্য ক্রয়ে হয়রানীর শিকার হলে তাদের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।