রাঙামাটির রসালো লিচু যাচ্ছে ঢাকা চট্টগ্রাম

99

গতবারের চেয়ে এবার সবধরনের লিচুর ফলন ভাল হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা না মিটিয়ে লিচু চলে যাচ্ছে রাঙামাটির বাহিরে। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রচুর লিচু আসা সত্ত্বেও লিচুর দাম ক্রেতার নাগালের বাহিরে। লিচুর মুকুল বের হওয়ার সময়ে এবার ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারনে এবার লিচুর ফলন ভাল হয়েছে। রাঙামাটির রসালো লিচু যাচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, রাঙামাটি সদর উপজেলা ও প্রত্যন্ত উপজেলা গুলোতে গতবারের চেয়ে এবার অনেক ভাল লিচু উৎপাদন হয়েছে। গতবার প্রতি হেক্টর জমিতে লিচু উৎপাদন হয়েছে ৫ দশমিক ৬ মেট্রিক টন আর এবার প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে ৮ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। তাই আমরা বলতে পারি গতবারের চেয়ে এবার লিচুর ফলন অত্যন্ত ভাল হয়েছে। সম্ভাব্য এবার রাঙামাটি জেলায় মোট ১৮৮০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। সূত্রে আরো জানান, সদর উপজেলার বড়াদম,জীবতলী,কুতুক ছড়ি,ঝগড়াবিল প্রচুর লিচুর উৎপাদন হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের লংগদু,বিলাই ছড়ি ,কাপ্তাই ও বাঘাইছড়িতে লিচু উৎপাদন ভাল হয়েছে। রাঙামাটি সদর উপজেলার (সাবেক) চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা ও ২একর জমিতে সফল লিচু বাগান মালিক বলেন, তিনি গত ৮বছর লিচু বাগান থেকে লিচু বিক্রি করেন। গতবারের চেয়ে এবার লিচুর ফলন একটু ভাল হয়েছে। দামও ভাল পেয়েছেন। কিন্তু তার আশ- পাশের লোকজনের নাকি লিচু তেমন ভাল হয়নি। তার কারন তিনি সঠিক ভাবে জানাতে পারেনি এই প্রতিবেদককে। তবে লিচুর যতœ নেওয়ার সাথে ফলনের একটি বিষয় জড়িত থাকে। ভাল করে যতœ নিতে না পারলে ভাল ফলন আসবে না। লিচু বিক্রেতা চম্পা সোনা চাকমা বলেন, এবার লিচুতে তেমন কোন পোকা মাকড় নেই। গতবারে লিচুতে বেশী পোকা মাকড় ছিল। যার কারনে তারা এবারে লিচুর দাম ভাল পাচ্ছে। তিনি বলেন, চায়না থ্রি বিক্রি হচ্ছে একশ’৩০০টাকা আর দেশীয় লিচু বিক্রি হচ্ছে প্রতি শ’৮০-৯০টাকা। তার পরও লোকজনে যথা রিতি লিচু কিনছে। লিচু ক্রেতা জসিম বলেন, এবার লিচু ভাল হয়েছে কিন্তু লিচুর দাম কমেনি। আর লিচুর দাম বা কি করে কমবে, সব লিচু চলে যায় রাঙামাটির বাহিরে। স্থানীয় লোকজনের চাহিদা না মিটিয়ে লিচু চলে যাচ্ছে ঢাকা চট্টগ্রামে। ঠিক একই ভাবে স্থানীয় মৌসুমী ফল বাজারে আসার আগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ি অগ্রিম টাকা দিয়ে বাগান কিনে ফেলে যার জন্য লিচুসহ সকল মৌসুমী ফলের দাম চড়া থাকে এখানে। তবে প্রশাসন এসব ব্যাপারে বাজার মনিটরিং করার প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন।