রাঙামাটিতে হচ্ছে পিসিআর ল্যাব, দ্রূত মিলবে রিপোর্ট

29

রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর (পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাব হচ্ছে। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহে কাজও শুরু হবে শিগ্গির। দুটো উদ্যোগই বাস্তবায়ন হচ্ছে বেসরকারি সহায়তায়। ফলে ভোগান্তির সাথে কমে আসবে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানান, বসুন্ধরা গ্রূপের ৬৯ লাখ টাকায় দ্রæতগতিতে চলছে পিসিআর ল্যাবের যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ। আগামী ২৫ জুলাই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। দৈনিক ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এতে ১২ থেকে ১৫ দিনের পরিবর্তে দিনে দিনেই মিলবে রিপোর্ট।
করোনা আক্রান্তের দিক থেকে দেশের সর্বশেষ জেলা রাঙামাটি। ৬ মে শিশু ও নার্সসহ ৪ জন আক্রান্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে সংক্রমণ শুরু হয়। আর ৯ জুলাই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ঠেকেছে ৪১৮ জনে। মারা গেছেন ৭জন। এরইমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৩১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যাই বেশি বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পিসিআর ল্যাবের যন্ত্রপাতি কেনার জন্য গত ২৬ জুন বসুন্ধরা গ্রæপ এর ৬৯ লাখ টাকা অনুদানের চেক পায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। রাঙামাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরী এই চেক হস্তান্তর করেন।
এরপরই ল্যাব স্থাপনের অনুমতি চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ১ জুলাই রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ল্যাব স্থাপনের জন্য অনুমতি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্তি মহা-পরিচালক ও টেকনিক্যাল কমিটি ল্যাবরেটরি ইনভেস্টিগেশন কোভিড-১৯ এর সভাপতি ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, দুটো উদ্যোগই বাস্তবায়ন হচ্ছে বেসরকারি সহায়তায়। এতে রাঙামাটিবাসীর ভোগান্তি ও দুশ্চিন্তা কমবে। বসুন্ধরা গ্রূপের ৬৯ লাখ টাকায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। আশা করছি ২৫ জুলাই এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। খুব শিগ্গিরই কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ কাজও শুরু হবে।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন অফিসের করোনা বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা কামাল জানান, গত বৃহস্পতিবার পাওয়া রিপোর্টে নতুন ২২ জন শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে রাঙামাটি সদরে ১৭, কাপ্তাইয়ে তিন ও কাউখালী দুই জন। ৯ জুলাই পর্যন্ত দুই হাজার তিনশ ৬৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেছে দুই হাজার দুইশ ৫৩ জনের। অপেক্ষমান রয়েছে ১১৪ জনের রিপোর্ট।