রাঙামাটিতে স্বামীকে মামলা দিয়ে নাহেজালের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে

38

রাঙামাটিতে বুধবার বিকালে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বপন নামে এক শ্রমিক স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্মেলন করেছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী জানকি রানী বেবীর বিরুদ্ধে স্বামী স্বপন চন্দ্র দাশ বলেন,২০০৮ সালে হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পরে একটি ছেলে জন্মলাভ করে। বর্তমানে ওই ছেলের বয়স প্রায় ৭-৮বছর হবে। এই ছেলে জন্মের পর হতে আমার স্ত্রী আমার সাথে বিভিন্ন তালবাহানা করে আসছে যা বেশ কিছু সামাজিক সালিশের মাধ্যমে আপোষ মীমাংসা করা হয়েছে। এর পরও ক্ষান্ত হয়নি জানকি রানী বেবী। স্বপন বলেন,আমি অত্যন্ত গরিব ও অসহায় শ্রমজীবী পেটের তাগিদে আমি একটি গ্যারেজে কাজ করি। দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাই জীবিকা নির্বাহে। এ সময় জানকি রানী নানা অসামাজিক কাজে জড়িত থাকে। এভাবে হাতে নাতে কয়েক বার ধরা পড়ে। এরপরও সে আমার নামে সালিশ বৈঠক করে। এসব সালিশি বৈঠককে সে পাত্তা না দিয়ে পরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সহ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আমার বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থনা করে সেখানেও কোন সুরাহ না পেয়ে জেলা দায়রা জজ আদালতে নারী নির্যাতন মামলা করে। ওই মিথ্যা মামলায় আমি জামিন পাই। আদালতে সে আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা করেছেন সে মামলা থানায় পাঠিয়েছে আদালত। থানার রিপোর্ট ও আমার অনুকূলে এসেছে। আদালতে জানকি রানী মিথ্যা তথ্য ও জাল স্বাক্ষর দিয়ে হলফনামার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করেছে তা ও ধরা পড়েছে। এখানে যে ক্ষান্ত নহে আদালত ও সালিশি বৈঠকে উভয়ের মধ্যে ছাড়া ছাড়ি হওয়ার পর গত ২১ মে ২০১৯ পুনরায় আদালতে একটি ফৌজদারি নালিশ দায়ের করেন। এ ভাবে সে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি। এ ব্যাপারে জগদ্ধাত্রী মাতৃমন্দিরের নিরসন কমিটির সচিব স্বপন কান্তি মহাজন বলেন,আমরা কমিটির লোকজন বসে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি এবং একে অপরের দোষক্রটি শুনে একটি আপোষ মিমাংসা করে দিয়েছি। কিন্তু তা মানতে রাজি না জানকি রাণী বেবী। এই সংক্রান্ত ব্যাপারে জানকি রাণীর কাছ থেকে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন, স্বপন চন্দ্রের সাথে যা হওয়ার আইনিভাবে হবে। আমি সাংবাদিককে কিছু বলতে পারবো না। এই কথা বলে ফোন কেটে দেন।