রাঙামাটিতে সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে অসহায় পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

18

রাঙামাটি সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একটি অসহায় পরিবার। শহরের স্বর্ণটিলা এলাকায় রেকর্ডীয় জায়গা দোষকৃতকারী ভূমিদস্যু আইয়ুব আলীগং থেকে উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এ এলাকায় বসবাসরত মো. নুরুল ইসলাম ও তার পরিবার পরিজন। গত ২০ ফেব্রæয়ারি রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরামের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন মো. নুরুল ইসলাম। এসময় মো. নুরুল ইসলামের বড় ভাই মো. আবুল কাশেম ও স্ত্রী নূরের নাহার বেগম উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. নুরুল ইসলাম বলেন, বিগত ৩৩টি বৎসরেও মিলেনি আইনী সহায়তা ও ন্যায় বিচার। ন্যায় বিচার না পাওয়ায় তবলছড়ি স্বর্ণটিলায় পৈত্রিক বসত ভিটায় বসবাস করতে পারছে না মো. নুরুল ইসলাম এবং মিসেস নুরের নাহার বেগম ও স্বামী মো. আবুল কাশেম পরিবার পরিজন।
লিখিত বক্তব্যে মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ভূমিদস্যু আইয়ুব আলীগং পরিবার ও তাদের প্রভাবশালী আত্মীয়স্বজন, দলবল সাথে নিয়ে দফায় দফায় আমাদের উপর চড়াও হয়ে আমাদের নামীয় রেকর্ডভূক্ত ২০ শতক জায়গা হতে ৫ শতক জায়গা জবর-দখল করে। ঘরবাড়ি নির্মাণ করার পরেও আইয়ুব আলীগং এবং তার আত্মীয়-স্বজন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত হওয়ায় তারা দলীয় এবং জেলা প্রশাসনের প্রভাব খাটিয়ে যোগসাজশে দফায় দফায় আমাদের উপর চড়াও হয়ে আমাদের বাড়ি-ঘরের উপর আক্রমন করার পরেও আইয়ুব আলী গত ৯মে ২০১৯ এবং ১২ মে ২০১৯ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিবারের ৪ জনকে বিবাদী করে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত পিটিশন মামলা দায়ের করে আমাদের নির্মানাধীন পাকা ভবনের ছাদ ঢালাই সম্পূর্ণ কাজ বন্ধ করে দেন। যা বর্তমানেও আমার ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ আছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪মে২০১৯ দুপুর ১টার সময় কোতয়ালী থানার এস.আই মহির উদ্দিন খান আমার ছেলেকে আমার মুরগির দোকান থেকে গ্রেপ্তার করে কোতয়ালী থানায় নিয়ে আসেন। আমি বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করি। তারা আমাকে বলেন, তাহারা আমার ছেলেকে ধরে, বেঁধে নিয়ে আসতে বলেন নাই। আমাকে আদালত থেকে জামিন নেওয়ার জন্য ১৫ মে ২০১৯ কোতয়ালী থানা হতে আমার ছেলেকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আমি বিজ্ঞ আদালত থেকে ১৫ মে ২০১৯ইং জামিনে এনে ৭ মাস মামলা পরিচালনা করে খালাস করি।
অপরদিকে, ৩০ মে ২০১৯ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবারো পুনরায় একই মামলায় আমার ছেলেকে তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। সেখানে আমি ও আমার ছেলে সাত মাস মামলা পরিচালনা করে আমার ছেলেকে খালাস করি এবং জেলা প্রশাসক এ.কে.এম মামুনুর রশিদর গণশুনানীর আদালতে পিটিশন মামলার বিরুদ্ধে আবেদন করি। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তপূর্বক দ্রæত মামলাটি নিস্পত্তির করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এর পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উভয় পক্ষের জায়গা পরিমাপ করে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন আসার পরে অত্র মামলা হতে আমাদেরকে খালাস করে দেন। বর্তমানে আইয়ুব আলীরগং স্বপরিবারে ৫টি ভাড়াটিয়ারা আমাদের জায়গা জবর-দখল করে আমাদেরকে আমাদের সীমানায় চলাফেরা করার জন্য ভয়-ভীতি, হুমকি- ধমকিসহ আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলে লাশ গুম করে আমার স্বপরিবারে উচ্ছেদ করে আমাদেরকে নারী-নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। অন্যদিকে, আইয়ুব আলীগং এর ভাড়াটিয়ারা ও অজ্ঞাত লোকজন আমার সীমানার উপর দিয়ে চলাচল করার কারনে আমার স্ত্রী, সন্তানরা ঘরের বাইরে চলাফেরা করতে পারছেন না এবং আমার একটি ভাড়াটিয়াকে আমার সীমানার উপর দিয়ে চলাচল করতে দিচ্ছেন না তারা। আইয়ুব আলীগং এর ছেলে-মেয়েরা এবং ভাড়াটিয়ারা রাত্রে আমার ঘরে টর্চ লাইট ও পাথর ছুড়ে মারার কারনে বর্তমানে আমি স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে শান্তিতে বসবাস করিতে না পারার কারণে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসন এর সকল প্রকার আইন আদালত ও বিচারক গণের কাছে উপরে উল্লেখিত বিষয়টি সরে জমিনে এসে তদন্ত পূর্বক আইনী সহায়তা ও ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রার্থনা করছি।