রাঙামাটিতে যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও উঠামানা করা হচ্ছে

54

রাঙামাটিতে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান এবং যেখানে সেখানে উঠানামা করা হচ্ছে বিপদজনক গ্যাস সিলিন্ডার বোতল। তাই সেফটি নিয়ে জনমনে জল্পনা কল্পনা ও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে প্রতিনিয়ত। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার বান করে বসে আছে। শনিবার পর্যটন শহরের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পান দোকান, মুদি দোকান, পেট্টোলের দোকান ও হার্ডওয়ারের দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে মরণঘাতি গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল। এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতাদের নাই কোন সেফটি লাইসেন্স ও অগ্নি নির্বারণের সু ব্যবস্থা।
তারপরও আইনের প্রতি বৃদ্ধাগুল দেখিয়ে নিয়মিত বিক্রি হচ্ছে এসব অনুমোদনহীন গ্যাস সিলিন্ডার বোতল। এলাকার সচেতন মহল বলেন,এসব মরণঘাতি গ্যাস সিলিন্ডার যত্রতত্র বিক্রি না করে র্নিদিষ্ট স্থানে বিক্রি করা হউক। পাশাপাশি স্থানীয় সিভিল প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস যৌথ ভাবে তা মনিটরিং করে যে ব্যক্তি এগুলোর লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য এবং আইনী ভাবে সব কিছু ঠিক করে বিধি মোতাবেক বিক্রির অনুমতি দেওয়া হলে এটি রোধ করা সম্ভাব বলে মনে করেন তারা। সূত্রে জানা গেছে,বহু দিন পরে হলেও ইতি মধ্যে এব্যাপারে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস ও জেলা প্রশাসন মিলে সেফটি এবং কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। কিছু দিনের মধ্যে যত্রতত্র গ্যাস বিক্রি ও পেট্টোল অকটেন বিক্রির ব্যাপারে কঠোর হস্তে দমন করতে অভিযানে নামার কথা রয়েছে। ইতি মধ্যে সেফটি নিয়ে বেশ কটি প্রতিষ্ঠানে অভি যান পরিচালনা করে ১২হাজার টাকার মত জরিমানা করা হয়েছে। রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক মো.দিদারুল আলম বলেন,ফায়ার সেফটি বিষয় নিয়ে গত ৬-৭মার্চ ২০১৯ বেশ কটি প্রতিষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহীম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। যে সব প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয়েছে তাহলো-ঘাগড়া মনি এন্টার প্রাইজ এর ব্যবসার শর্তে মোতাবেক ফায়ার সেফটি লাইসেন্স নেই তার জন্য ২হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কলেজগেট সংলগ্ন রিগ্যাল ফার্ণিচারকে একই কারনে ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।কলেজগেট মামুন এন্টার প্রাইজকে ৩হাজারটাকা ও হোটেল মোটেল জজকে ২হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুহুল কুদ্দুস বলেন,রিগ্যাল ফার্ণিচার,মামুন এন্টার প্রাইজ, মনি এন্টার প্রাইজ এবং আবাসিক হোটেল মোটেল জর্জকে মোট ১২হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়ও ঘাগড়াস্থ রাঙামাটি টেস্টাইলকে এক মাস সময়ের মধ্যে সকল কাগজপত্র ঠিক করার জন্য তাগিদ দেন অন্যথায় তা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে আসেন।
মূলত যাদের ফায়ার সেফটি কাগজপত্র নেই তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা না থাকলে যে কোন সময় অনেক বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। পর্যটন শহরের প্রধান সড়কের দু’পাশে অনুমোদনহীন ভাবে প্রতিদিন বিক্রি করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্টোল অকটেন যা দূর্ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয় লোকজন। যে হারে গ্যাস সিলিন্ডার, অকটেন ও পেট্টোল বিক্রি হচ্ছে কখন যে বিপদ চলে আসে তা কল্পনা করা যাচ্ছে না। যেমনটি ঘটে ছিল সম্প্রতি ঢাকার চকবাজার এলাকায়।