রাঙামাটিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ৫০-৬০টি দোকান পুড়ে ছাই

42

৫দিনের মাথায় ফের রাঙামাটিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংগঠিত হয়েছে শরের কলেজগেট এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার ভোরে রাঙামাটি সরকারি কলেজগেট সংলগ্ন এলাকার আমানতবাগ সড়কে হোটেল পানাহার রেস্টুরেন্ট হতে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ছুঁটে আসেন সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্ট, রোবার স্কাউট ও স্থানীয় জনগণ। প্রত্যদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার প্রভাত ফেরীর সময় অথাৎ খুব ভোরে কলেজগেট সংলগ্ন আমানতবাগ সড়কে অবস্থিত হোটেল পানাহার রেস্টুরেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত। পানাহার হোটেলের ভেতরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। এছাড়াও আশ পাশের দোকান গুলোতেও গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুনের গতিবেগ বেড়ে গিয়ে আশ পাশের ৫০-৬০টি কাচাপাকা দোকানঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রাঙামাটি, কাপ্তাই, কাউখালীসহ ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট সেনাবাহিনী, পুলিশ, রেড ক্রিসেন্ট ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মিলে দীর্ঘ ২ঘন্টার অধিক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কলেজগেট স্থানীয় ব্যবসায়িরা বলেন, কলেজগেট বাজার এলাকায় যেসব দোকান পাট আগুনে পুড়েগেছে সেসব দোকানপাটের মধ্যে বেশীর ভাগ দোকান ছিল চা বিক্রির দোকান ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দোকান। যার কারনে আগুর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়িরা বলেন, ৫০-৬০টি দোকান পুড়ে গেছে এতে প্রায় ৫-৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়িদের। এক কথায় ব্যবসায়িরা একেবারে সর্বহারা হয়ে পড়েছে। তাদের জরুরী ভাবে ঋণ সহায়তা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। অগ্নিকান্ড ক্ষতিগ্রস্ত চায়ের দোকান মালিক মো. ফারুক বলেন, খুব ভোরে আগুন লাগাতে আমরা দোকান থেকে কিছুই বের করতে পারিনি। এ সময় সবাই ঘুমে ছিলেন। আগুনে পুড়ে গেছে- ফার্মেসি, চায়ের দোকান, মুর্দি দোকান, মাছের দোকান, ইলেকট্রনিক্স দোকান, গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, মুরগির দোকান ও ২টি নাপ্পির দোকান। এসব দোকানদার সবাই এখন সর্বহারা। রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ বলেন, ফায়ার সার্ভিস খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। অপর দিকে কাপ্তাই ও কাউখালী ফায়ার সার্ভিসকে আনা হয়। প্রায় ৬টি ইউনিট ২ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল থেকে খুব কাছে পানি না থাকায় অগ্নিনির্বারনে বিলম্ব ঘটেছে।
প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ৫০টির বেশী দোকান পুড়ে গেছে। তবে তদন্ত করে দেখার পর জানা যাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান কত হতে পারে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার অগ্নিকান্ড ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান পিএসসি ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা উপমা। তারা ক্ষতিগ্রস্ত দোকনদারদের পাশে থাকার আশ^াস ব্যক্ত করেন।