রাঙামাটিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘ঘর’ পাচ্ছেন ২৬৮টি পরিবার

69

 

মুজিব শতবর্ষে পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আওতায় ২৬৮টি গৃহ উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। গত ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণায় প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানান, জমিও নাই ঘরও নাই ‘ক’ শ্রেণির এ প্রকল্পের অধীনে প্রথম পর্যায়ে জেলার ৭টি উপজেলার ২৬৮ জন উপকারভোগী এই গৃহ পাচ্ছেন। নির্মাণাধীন রয়েছে ৭৩৬টি ঘর। এছাড়া ‘জমি আছে ঘর নাই’ ‘খ’ শ্রেণির প্রকল্পের কাজও শুরু হবে খুব শিগগির। জেলায় এই দুই শ্রেণির ২ হাজার ৫১২জন গৃহহীন ব্যক্তির তালিকা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্টরাও এ সুবিধার আওতায় আসবেন। একইসাথে প্রকল্পটি চলমান থাকবে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ১০ উপজেলার সদরে ৬০টি, কাপ্তাইয়ে ৩০টি, রাজস্থলীতে ৬২টি, বরকল ১৯টি, বাঘাইছড়িতে ৩৫টি লংগদু ৩৪ টিনানিয়ারচরে ২৮টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব ঘর স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ তদারকি করছে। সদর উপজেলার ভ‚মিহীন ও উপকারভোগি মঙ্গলা চাকমা ও সুবাস চাকমা বলেন, প্রধান মন্ত্রীর ঘর উপহার পেয়ে আমরা পাহাড়ি জনগণ অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি। ওনাকে ভগমান যেন সুখে শান্তিতে রাখেন। তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী হাজার বছর বেঁচে থাকুন এই প্রার্থনা করছি। এদেশে এরকম প্রধানমন্ত্রী সারা জীবন দরকার। অপর দিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুশি প্রত্যন্ত দুর্গম উপজেলা খেদারমারা ইউনিয়নের ঝর্ণা সরকার ও তার পরিবার পরিজন। তারাও প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেছেন। এভাবে ২৬৮টি পরিবারই প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিল্পী রানী রায়। জেলা প্রশাসনের এই সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ৬০-৭০ গণমাধ্যম কর্মী।