রাঙামাটিতে প্রতারকের পাঁচ বছর কারাদন্ড

14

পরিচয় দিতেন ‘মেজর’; তবে কখনও র‌্যাব কখনও সেনাবাহিনীর। মাঝে একবার ভুয়া ‘এসপি’ সেজে গণধোলাই শেষে জেলে ঠাঁই হয়েছিল। জেল থেকে ফিরেই রাঙামাটির শহরতলীর বাকপটু আবুল হোসেন সুমন (৩০) হয়ে ওঠেন ‘চাকরিদাতা’। একাধিক মন্ত্রীর পাশে নিজের ছবি জুড়ে দিয়ে মানুষকে দেখানোই ছিল তার প্রতারণা ব্যবসার ‘পুঁজি’। এ ছবি দেখিয়ে চাকরি দেওয়ার ফাঁদ পেতে অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। প্রতারণামূলক অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ‘চাকরিদাতা’ সেই সুমনের পাঁচ বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড এবং দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এন এম মোরশেদ খানের আদালত এই আদেশ দেন। পলাতক সুমনকে গ্রেপ্তার করতে জারি করা হয়েছে পরোয়ানা।
প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের মামলাটি দায়ের করেন রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি নিচের বাজারের বাসিন্দা মৃত মমতাজ উদ্দিনের সন্তান মো. আব্দুল মাবুদ। মামলার আসামি আবুল হোসেন সুমন, রাঙামাটি সদর উপজেলার ৬নং বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাপমারা পাহাড় এলাকার বাসিন্দা মো. আবু আলমের সন্তান।
প্রতারণার শিকার মো. আব্দুল মাবুদ বলেন, নৌ-বাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে প্রতারক সুমন সাড়ে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সুবিচার পেতে গত ২০১৯ সালের ৭ মে তিনি রাঙামাটির আদালতে মামলাটি করেন।