রাঙামাটিতে পাহাড়ধস সচেতনতায় জেলা প্রশাসকের লিফলেট বিতরণ

21

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পাহাড়ধস সম্পর্কে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে সচেতন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের লিফলেট বিতরণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নির্ধারণে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নির্ধারণে সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।
জেলা প্রশাসক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনের মাঝে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পাহাড়ধস সম্পর্কে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, বর্ষাকাল এসে গেছে এই সময়ে পাহাড়ি অঞ্চলে মোষল ধারে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। আর বৃষ্টির সাথে পাহাড়ধসের আশংকা রয়েছে। তাই লোকজনকে সচেতন করতে অগ্রিম এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আল্লাহ বলেছেন সচেতনতার কোন মাইর নাই। মানুষ যদি সচেতন হয় তাহলে অনেক কিছু থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, গত বছরও পাহাড়ধস সম্পর্কে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এবারও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পাহাড়ধস সম্পর্কে আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যদি কেউ আইন অমান্য করে তাহলে তাকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। পাহাড়ধসে কেউ মারা যাবে এটা সহ্য করা হবে না। পাহাড়ধসের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
নির্ধারিত ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে জেলা প্রশাসন সাইনবোর্ড স্থাপন করেছেন কেউ এই সাইন বোর্ডের বাহিরে গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে সমস্ত এলাকায় পাহাড়ধস নিয়ে সাইনবোর্ড স্থাপন ও লিফলেট বিরতণ করা হয়েছে সেসব এলাকাগুলো হলো-রেডিও ষ্টেশন, শিমুলতলী, মুসলিম পাড়া, টিভি সেন্টার ও যুব উন্নয়ন এলাকা। প্রসংগত, রাঙামাটিতে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পাহাড়ধসে ২০১৭ সালের ১৩ জুন ৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ১২০জন লোক মারা গিয়েছিল। ২০১৮ সালে জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড়ধসে ২শিশুসহ ১১জন মারা যায়।