রাঙামাটিতে নৃগোষ্ঠীর নাট্য উৎসবে দর্শকের ঢল

139

রাঙামাটিতে জমছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নাট্য উৎসব। সম্প্রতি বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় পরিবেশিত মঞ্চ নাটক পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিনোদনের ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। চাকমা নাটক ‘ফাজা’ মঞ্চায়নের পরপরই শনিবার থেকে শুরু হয়েছে, তিনদিনব্যাপী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মঞ্চ নাট্য উৎসব। ইন্সটিটিউটের অডিটরিয়ামে এ নাট্য উৎসবের আয়োজন করেছে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট।
তিনটি মঞ্চ নাটকের মধ্যে উদ্বোধনীর দিন বিকাল সাড়ে ৫টায় মঞ্চস্থ হয়, রাঙামাটির জুমফুল থিয়েটারের চাকমা নাটক ‘আদেই ধন’। রোববার একই সময়ে মঞ্চস্থ হয়েছে, খাগড়াছড়ির য়ামুক নাট্যগোষ্ঠীর ত্রিপুরা নাটক ‘কিয়ক্খা’। আজ (সোমবার) শেষের দিন মঞ্চস্থ হবে রাঙামাটির ফু-কালাং সাংস্কৃতিক একাডেমির তঞ্চঙ্গ্যা নাটক ‘গিঙিলি’। পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির বিকাশ ও উন্নয়নে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ নাট্য উৎসবের আয়োজন বলে জানান, রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক রুনেল চাকমা। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা তিন দিনব্যাপী এ নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করেছেন।
এর আগে ৬ জানুয়ারি সংগঠনের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘হিলর ভালেদী ও প্রোডাকশন’ প্রযোজনায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ইন্সটিটিউট অডিটরিয়ামে মঞ্চস্থ হয় চাকমা ভাষায় রচিত নাটক ‘ফাজা’। ফাজার বাংলা অর্থ আচরণ। সামাজিক কাহিনী ঘিরে তৈরি নাচে-গানে ভরপুর ‘ফাজা’ নাটকটি উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায়। পাশাপাশি ইন্টারনেটে ছাড়ায় ইউটিউব চ্যানেলে এরই মধ্যে সাড়ে তিন হাজারের অধিক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে হাজার হাজার দর্শক উপভোগ করেছেন, ফাজা নাটকটি। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেন, হিলর ভালেদী ও প্রোডাকশনের উপদেষ্টা ও দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি সুশীল প্রসাদ চাকমা। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সুপ্রিয় চাকমা শুভ, নিকেল চাকমা, পারমিতা চাকমা, সুহিতা দেওয়ান, প্রিয়ঙ্কা চাকমা, রোমিকা চাকমা, নমিতা চাকমা, প্রসেনজিৎ চাকমা, নিপায়ন চাকমা, শ্যামল চাকমা, জ্যাকশন চাকমা, সুমন চাকমা ও ওয়াইপ্রু চাই মারমাসহ নাট্যকার নিজেই। নাটকটির গান দুটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন- নবীন সঙ্গীতশিল্পী প্রিয়ঙ্কা চাকমা ও নিরু চাকমা।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, একটি জাতির মূল পরিচয় তার ভাষা ও সংস্কৃতি। বাংলা ভাষার পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। রয়েছে তাদের নিজস্ব ভাষা ও সাংস্কৃতি। এসব নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছে।