রাঙামাটিতে দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ

32

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা ও উপজেলাগুলোতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। গতকাল বুধবার সকাল থেকে বন্ধ হয়ে গেছে দোকানপাট ও যানবাহন। একান্ত প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে কেউ যেন বের না হয় পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনা প্রতিরোধে কাজ করছে জেলা প্রশাসক, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলো, রেড-ক্রিসেন্ট, রোবার স্কাউট, পৌরসভা এবং স্থানীয় প্রিন্ট এন্ড ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা। সবার একটাই কথা ঘাতক মরণব্যাধী করোনা ভাইরাস থেকে রেহাই পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
গতকাল বুধবার সকাল হতে মানবশূন্য হয়ে পড়েছে গোটা রাঙামাটি শহর। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত হতে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ হয়ে গেছে। কাল বৃহস্পতিবার রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কেও বন্ধ হয়ে যাবে বাস চলাচল। এদিকে জনগণকে সচেতন করতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রাঙামাটি শহরজুড়ে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মাইকিং করা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ থাকবে। অপ্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বের হবে না। রাঙামাটি শহর যেন অঘোষিত কারফিউ জারি করা হয়েছে। এদিকে লোকজনকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন জেলা প্রশাসনের সাথে যুক্ত হয়েছেন পৌরসভা, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, জেলা প্রশাসন,স্বাস্থ্য বিভাগ ও সেনাবাহিনী গতিহীনভাবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করছে। গত কয়েকদিন ধরে প্রশাসনের পক্ষ হতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাঠে নামিয়ে সবাইকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক বলেন, রাঙামাটিতে গত তিন মাসে বিদেশফেরত প্রায় ১ হাজার জন হবে। এর মধ্যে তালিকা পাওয়া গেছে ৩১৮ জন। তবে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে প্রায় ১৫০ জন, অবমুক্ত করা হয়েছে ১৬ জনকে। করোনা প্রতিরোধে যা যা করণীয় সব কিছু করতে প্রস্তুত প্রশাসন।