রাঙামাটিতে কৃষক সহায়তাকারীদের মৌসুমব্যাপী প্রশিক্ষণ

41

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি (এসআইডি-সিএইচটি)-ইউএনডিপির বাস্তবাায়নে এবং ড্যানিডার অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প (৩য় পর্যায়) এর আওতায় সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা-কৃষক মাঠ স্কুল বিষয়ে কৃষক সহায়তাকারীদের ৩৬দিন মৌসুমব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মৎস্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ছরওয়ার জাহাঙ্গীর, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. দেবরাজ চাকমা, এসআইডি-সিএইচটি- ইউএনডিপি’র এফএফএস এক্সপার্ট একেএম আজাদ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা সুকিরন চাকমা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা বর্তমান সরকারের কৃষি ভাবনার এক বাস্তব প্রতিফলন। কারণ বর্তমান সরকার একটি কৃষিবান্ধব সরকার। বক্তারা বলেন, পূর্বে সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে কৃষকরা তেমন সাফল্যের মুখ না দেখলেও বর্তমান সরকার কৃষিখাতকে গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি, সার, কৃষি পণ্য বিতরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর এ সাফল্য অর্জন হয়েছে আদর্শ কৃষকদের কারণে। বক্তারা প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই প্রশিক্ষণে মৎস্য, প্রাণি ও কৃষির উন্নয়নে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ হতে লব্দ জ্ঞান অর্জন করে নিজেরা দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নিজ নিজ গ্রামে প্রয়োগ করতে হবে। তবেই এ প্রশিক্ষণের সফল হবে। কারণ অর্জিত জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগের কৌশলই হচ্ছে মাঠকর্ম প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ কোর্সে জেলার ১০টি উপজেলার ৩১জন অংশগ্রহণকারী কৃষক সহায়তাকারীদের মাঝে সনদ ও কৃষি সরঞ্জমাদি বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।