রাউজানে লটারির নামে নারীদের সঙ্গে প্রতারণা

44

রাউজানে একদল প্রতারক গ্রামে গ্রামে গিয়ে নারীদের কাছে এক’শ টাকা মূল্যে লটারি বিক্রি করে প্রায় ১৬ হাজার ৪০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লটারির নামে ভুয়া টোকেন বিক্রির এই খবর জানাজানি হলে স্থানীয়রা ধাওয়া করে দুই প্রতারককে পিটুনি দিয়েছে। পিটুনির শিকার প্রতারকরা হলেন শেরপুর জেলার শ্রীবর্দি উপজেলার বাসিন্দা রুহুল আমিন (১৮) ও জামালপুরের বক্সিগঞ্জে উপজেলার আতিক হাসান (১৯)। পরে লটারি বিক্রির টাকা ফেরত দিয়ে রক্ষা পায় ওই দুই প্রতারক। গত রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামে।
প্রতারণার শিকার নারী, স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, রোববার সকাল থেকে কচুখাইন গ্রামে ৭ থেকে ৮ জনের একদল প্রতারক কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে নারীদের কাছে লোভনীয় অপারে এক’শ টাকা মূল্যের ছাপানো লটারির টোকেন বিক্রি করেন। ওসব টোকেনে গোপন পন্যের নাম ঢেকে দেয়া হয় মোছনীয় প্রলেপে। নারীদের জানানো হয় এক সপ্তাহ পর ঢেকে দেয়া স্থান ঘষে যেই পন্যের নাম ভেসে উঠবে সেই পন্যটি টোকেন দেখিয়ে স্থানীয় নোয়াপাড়া পথেরহাট বাজারের বন্ধু ইলেক্ট্রোনিক্স থেকে পন্যটি নিয়ে যেতে পারবেন। পরে প্রতারিত পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বিষয়টি জেনে খোঁজ নিতে পথেরহাট বাজারে গেলে বন্ধু ইলেক্ট্রনিক্স নামে কোন প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পেয়ে দুই প্রতারককে পিটুনি দিয়ে বেঁেধ রাখেন। পরে প্রতারকরা প্রতারণার কথা স্বীকার করে বিলি করা ১৬৪টি লটারীর টোকেনের বিপরীতে নেয়া ১৬ হাজার ৪০০ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়। প্রতারণার শিকার গৃহবধু নাসিমা আকতার বলেন, আমাদের মিথ্যা প্রলোভনে টাকা হাতিয়ে নিতে তাঁরা প্রতারণা করেছিল। পুরুষ সদস্যরা বিষয়টি টের পেলে আমরা টাকা ফেরত পাই। নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাসেম বলেন দুই প্রতারককে স্থানীয়রা বেঁধে রেখে পিটুনি দেন। পরে তাঁরা প্রতারণার কথা স্বীকার করে ১ শ ৬৪ জন গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া ১৬ হাজার ৪০০ টাকা ফেরত দিয়ে রক্ষা পান।